দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার চার্জ শুনানি ১২ জানুয়ারি
আদালত প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১২ জানুয়ারি।
ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৩ এ রবিবার খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে চার্জ শুনানির জন্য ধার্য্য ছিল। এদিন খালেদা জিয়া উপস্থিত হতে পারছেন না বিধায় তার পক্ষে এ্যাডভোকেট মো. সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, জাকির হোসেনসহ ৩০/৩৫ আইনজীবী শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশে চলমান অবরোধ ও নির্বাচন বিষয়ে জাতিসংঘের দূত তারানকোর সঙ্গে রাতে খালেদা জিয়ার বৈঠক হয়েছে এবং আরো বৈঠক হতে পারে। হরতাল ও অবরোধে নিরাপত্তাহীনতার কারণে খালেদা জিয়া হাজির হতে পারছেন না।
অন্যদিকে, দুদুকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল চার্জ শুনানি পেছানোর তীব্র বিরোধিতা করেন। আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. মোজ্জাম্মেল হক চার্জ শুনানির জন্য আগামি ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দুই আসামি বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অন্য সকল আসামিদের জন্যও আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’র নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চার জনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এ অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। গত ২০১০ সালের ৫ আগস্ট দুদকের সহকারি পরিচালক হারুনুর রশিদ মামলার তদন্ত শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর প্রায় সাড়ে ৩ বছরে ৩০টি ধার্য তারিখের মধ্যে মাত্র ৩টি ধার্য তারিখ আদালতে হাজির হন খালেদা জিয়া। ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি ও গত বছর ১১ অক্টোবর আদালতে হাজির হন।
(দ্য রিপোর্ট/এএল/এমসি/ এমডি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)