দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশে গুম, হত্যা ও নির্বাচন নিয়ে চলমান সংকট পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর ডিক ডার্বিন। তিনি জনমতকে গুরুত্ব দিয়েই ঢাকার সংকট নিরসনের আহবান জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী এই সিনেটর আরো বলেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশের সংকট সমাধানে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জাতিসংঘও তৎপরতা চালাচ্ছে। চলতি মাসেই একটি সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময় শনিবার (স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে) সিনেটর ডিক ডার্বিনের ইলিনয় রাজ্যে অবস্থিত কার্যালয়ে শিকাগোয় বসবাসরত প্রবাসীদের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, গ্রেফতার ও নির্বাচন নিয়ে জটিলতার চিত্র তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করেন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ কমিউনিটি অব শিকাগোল্যান্ড ও শিকাগো বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল এবং উপদেষ্টা এম জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের বর্তমান সংকট তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করা হয়। বলা হয়, ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে শেখ হাসিনা নিজের অধীনে সাজানো নির্বাচন আয়োজন করেছে। এটা দেশের ৯০ ভাগ মানুষ চায় না। অন্য কোনো দলও এ নির্বাচনে যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নির্যাতন চলছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের গুম করা হচ্ছে। রাজপথের কর্মীদের গুলি করে হত্যা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকেও শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার পাত্তা দিচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে প্রবাসীরা মনে করেন।

জবাবে সিনেটর ডিক ডার্বিন বলেন, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটন সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষ করে জনমতের প্রতি গুরুত্ব দিয়েই চলমান সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই সংকট সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে, স্মারকলিপিতে তুলে ধরা তথ্য নিয়ে তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে প্রবাসী প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দেন।

সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ কমিউনিটি অব শিকাগোল্যান্ড ও শিকাগো বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, দেশে আমাদের আত্মীয়-স্বজন বসবাস করছেন। গণমাধ্যম ছাড়াও তাদের কাছ থেকে জেনে দেশে বিরাজমান সংকট ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রিয় মাতৃভূমিতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ এশিয়ান হিউম্যান অ্যাফেয়ার্স কংগ্রেশনাল কমিটির চেয়ারম্যান ও কংগ্রেসম্যান জন শ্যাকস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র উদ্যোগ নিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

দ্য রিপোর্ট/ টিএস/