দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সশস্ত্র বাহিনীকে একতরফা পাতানো নির্বাচনের কাজে ব্যবহার না করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতারা।

তারা বলেন, বিতর্কিত ও গণধিক্কৃত নির্বাচনী তৎপরতায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা কারো জন্যই শুভ হবে না।
তোপখানা রোডে বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রবিবার বিকেলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ অবিলম্বে একতরফা নির্বাচনের তামাশা বন্ধ করার আহ্বান জানান।

নেতারা বলেন, রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করে জবরদস্তির কোন নির্বাচনী পায়তারা দেশের মানুষ বরদাস্ত করবে না। বিরোধী দল ও প্রতিযোগিতাহীন একতরফা নির্বাচন অতীতে যেমন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, আগামীতেও প্রত্যাখ্যান হবে। জনগণের ইচ্ছার বাইরে বল প্রয়োগ করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা দেশে কেবল রক্তপাতই ডেকে আনবে। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপের রাস্তাই কেবল প্রশস্ত হবে।

সভায় নেতারা এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে দেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বাম মোর্চার সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, শহীদুল ইসলাম সবুজ, হামিদুল হক, ফখরুদ্দিন আতিক, মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বহ্নিশিখা জামালী, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক প্রমুখ।

এছাড়া একতরফা তামাশার নির্বাচন বাতিল, আন্দোলনের নামে হত্যা, খুন ও সহিংসতা বন্ধ এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে সাতটি বামদলীয় জোট ‘বাম মোর্চা’।

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এমসি/এমএআর/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)