অবরোধে রাজধানীতে আটক ১২
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবরোধের দ্বিতীয় দিন রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে ১২ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এদের একজনকে ছয় মাস এবং আরেকজনকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ১৪টি ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং ৮টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু ইউসূফ জানান, রমনা থানাধীন মালিবাগ নূর মসজিদের সামনে সকাল ১১টায় ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। বংশাল থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ২টি ককটেলের বিস্ফোরণ, তাঁতীবাজারে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ও নয়াবাজার ব্রীজের পাশে বেলা ১২টায় ১টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে গুলশান ১ এর ১৬ নম্বর রোডের নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলীর বাসার সামনে থেকে রাত আটটার দিকে একটি বোমাসহ আব্বাস (২২) ও ইলিয়াস (২০) নামে দুইজনকে আটক করে গুলশান থানা পুলিশ।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নাশকতার উদ্দ্যেশে তারা বোমা নিয়ে রাস্তায় নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গুলশান ১ থেকে আটক করি।’
এ ছাড়া খিলগাও থানাধীন দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় একটি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
ওয়ারী থানাধীন ৭৪ নবাবপুর মোড়ে সকাল সোয়া ১১টায় পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরবর্তীতে নাশকতার অভিযোগে ১২টা ১০ মিনিটে ৩ বিএনপি নেতাকে আটক করে ওয়ারী থানা পুলিশ।
পল্লবী থানাধীন ১২ নম্বরের ডি ব্লকের কালসি সড়ক থেকে ৭টা ৫৫ মিনিটে ৬টি ককটেলসহ মো. ফরিদ হোসেন (২২) নামে এক ছাত্রদলকর্মীকে আটক করে।
ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্র্যাট ইমতিয়াজ আহমেদ তাকে দুই মাসের কারাদন্ড প্রদান করে।
উত্তর বাড্ডা থেকে ৮টার দিকে ২টি বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় নজরুল ইসলাম নামে এক পিকেটারকে আটক করে পুলিশ। এরপর ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্র্যাট ইফতেখার আহমেদ তাকে এক বছরের কারাদন্ড দেন।
(দ্য রিপোর্ট/এএইচএ/এমসি/এসবি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)