কক-আমলার সেঞ্চুরিতে সিরিজ দ. আফ্রিকার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় মাঠের লড়াই জমাতে পারছে না ভারত। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হেরেছে তারা। একতরফা ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন কুইনটন ডি কক ও হাশিম আমলা। তাদের জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে সফরকারীদের হারিয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতেছে স্বাগতিকরা।
সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছে ভারত। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে একেবারে ছন্দহীন। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের তকমা পাওয়া দলটি গুটিয়ে যাওয়ার আগে করেছে মাত্র ১৪৬ রান।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও স্বাগতিকদের পেস বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ২৮০ রান তাড়া করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়েও দেড়শ রানের কোটা ছুঁতে পারেনি ধোনিরা। সোতসোবে ৪টি ও ডেল স্টেইন নিয়েছেন ৩টি উইকেট। মূলত এ দুজন বোলারই ভেঙে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড।
বলার মতো স্কোর করতে পারেনি কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যান। সুরেশ রায়না ৩৬, রবিন্দ্র জাদেজা ২৬, অশ্বিন ১৫ আর সমান ১৯ রান করেছেন রোহিত শর্মা ও অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছুতে পারেননি।
সফরকারীদের ব্যাটিং দৈন্যতায় রীতিমতো রানের পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতেই ১৯৪ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। সেঞ্চুরি করেছেন দুই ওপেনার ডি কক (১০৬) ও সতীর্থ হাশিম আমলা (১০০)। এই সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে দ্রুত ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন আমলা। ককও একটি রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। আমলা ও হার্সেল গিবসের পর ওয়ানডেতে তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।
কক ও আমলার পর ৪ উইকেট হারালেও বড় স্কোর গড়তে কোনো বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। নির্ধারিত ৪৯ ওভারে ২৮০ রান তুলেছে তারা। স্বাগতিকদের দারুণ ব্যাটিংয়ের মাঝে ছন্দপতন ঘটিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ শামি। একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন এ ভারতীয় পেসার।
৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ছন্দহীন ভারতকে টানা দুই ম্যাচ হারিয়ে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ ডিসেম্বর সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮০/৬ (কক ১০৬, আমলা ১০০; শামি ৩/৪৮)
ভারত: ১৪৬ (রায়না ৩৬, জাদেজা ২৬, রোহিত ১৯, ধোনি ১৯; সোতসোবে ৪/২৪, স্টেইন ৩/১৭)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৪ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: ডি কক
(দ্য রিপোর্ট/সিজি/এসকে/এসবি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৩)