থাইল্যান্ডে সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচনের ডাক
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।
রবিবার বিরোধীদলীয় সব সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেন এবং সোমবার ‘গভর্নমেন্ট হাউস’ অভিমুখে বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ হলো এই সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার নিয়ন্ত্রণে চলছে।
ইংলাক ২০১১ সালে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন। মূলত গরিব লোকদের মাঝে ও গ্রামে তার জনপ্রিয়তা বেশি।
রবিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ইংলাক সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, সরকার একটি মৃত্যুও চায় না। বিভিন্ন দল থেকে যখন সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করা হচ্ছে, তখন থাই জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া এবং নির্বাচন ডাকাই ভালো পথ। সুতারাং থাই জনগণই তাদের সিদ্ধান্ত নেবে।
নির্বাচনের তারিখ এখনো নির্ধারিত না হলেও ইংলাক জানিয়েছেন, যত শিগগির সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে থাইল্যান্ডের নির্বাচনী বিধি অনুসারে কোনো সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন হতে হবে।
তবে ইংলাকের এই ঘোষণাতেও বিক্ষোভকারীদের অনেকে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা মনে করেন দেশের গণতান্ত্রিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার। এর জন্য ইংলাক ও তার পরিবারের উচিত দেশত্যাগ করা।
তারা বলছেন বর্তমান সরকারের স্থানে অনির্বাচিত ‘পিপলস কাউন্সিল’-এর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/শাহ/জেএম/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৩)