সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুরমা নদীর ভাঙ্গনের কবলে বিলীন হতে চলেছে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলা পরিষদ ভবন, উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ও নির্বহিী কর্মকর্তার বাস ভবনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

উপজেলা সদরের রাস্তাটি এখন ঝুলে আছে সুরমা নদীতে। ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সদরের সঙ্গে যোগাযোগের আর কোনো বিকল্প সড়ক না থাকায় কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝুলন্ত রাস্তাটি যে কোন সময় নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

জানা যায়, ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে উপজেলা সদরের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়িসহ অসংখ্য দোকানপাট। সুরমার রাক্ষুসী গ্রাসের কবল থেকে রেহাই পায়নি মাঝেরগাঁও গ্রামের একমাত্র জামে মসজিদটিও।

নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় লোকজন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) স্মরণাপন্ন হলেও সাড়া দেয়নি কর্তপক্ষ।

নদীর কবল থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়, নির্বহিী কর্মকর্তার বাস ভবন ও উপজেলা পরিষদ ভবন আর মাত্র ৫০ দূরে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, ‘অনেক আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা এর কোনো উদ্যোগ নেননি। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে লিখিতভাবে জানিয়েছি, তাতেও কাজ হয়নি।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে এই স্থানটি ভাঙ্গতে শুরু করলেও ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ না থাকায় এখন জটিল আকার ধারণ করেছে।’ দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ‘ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।’ সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তা সাঈদ আহমদ বলেন, ‘ভাঙ্গন রোধে ইতোমধ্যে প্রজেক্ট তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএআর/শাহ/এমসি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৩)