সমুদ্র গবেষণায় ইনস্টিটিউট হচ্ছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষণায় একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করবে সরকার। এজন্য ‘ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৩’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্বে করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান। তিনি বলেন, একজন মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিষ্ঠানকে দিক-নির্দেশনা দিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি পরিচালনা বোর্ড থাকবে। এ বোর্ডে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।
এ প্রতিষ্ঠানটি ফিজিক্যাল ওশানোগ্রাফি, জুওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি, ক্যামিকেল ওশানোগ্রাফি, বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফিসহ সমুদ্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে। এক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তিও তৈরি করবে তারা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চট্টগ্রামের রামুতে জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলেছে। একনেক ২০০১ সালের মার্চে এ বিষয়ে একটি প্রকল্পও অনুমোদন দিয়েছিলো। পরবর্তী সরকারের আমলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে এটি আবার শুরু করা হয়েছে। এ ইনস্টিটিউটকে স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এ আইনের খসড়া করা হয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠানটি মূলত গবেষণা কাজ করলেও সাথে সাথে সমাজ সচেতনামূলক কাজও করতো।
এ ইনস্টিটিউট প্রয়োজনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবে। আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার বিধি তৈরি করতে পারবে। এছাড়া সরকারের অনুমোদন নিয়ে ইনস্টিটিউট প্রবিধান প্রণয়ন করতে পারবে। এ খসড়া আইনে ২১টি ধারা রয়েছে বলেও জানান মোশাররাফ হোসাইন।
এছাড়া ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩’ এর তফসিলভুক্ত অধ্যাদেশগুলো নতুন আইন আকারে প্রণয়ন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগের অধীনে উক্ত মেয়াদে প্রণীত নির্দিষ্টকরণ অধ্যাদেশগুলোর বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে ।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/ এমডি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৩)