রেলকর্মীকে খুন করে ১৫ লাখ টাকা লুট, বরখাস্ত ১০

খুনের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য রেল পুলিশ ও রেল নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার সকালে রেলকর্মীর লাশ পাওয়ার পর রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক ঘটনাস্থলে যান এবং তিনি এই হত্যাকাণ্ড তদন্ত ও বরখাস্তের নির্দেশ দেন।
রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল আলম দ্যারিপোর্টকে জানান, এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শরিফুল আলম জানান, মো. ইসরাফিল নামে ওই কর্মী শুক্রবার ছুটির দিনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছিলেন। তার কাছে টিকিট বিক্রির প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিল। শনিবার ভোরে টিকিট বিক্রির কাউন্টারের সঙ্গে থাকা ছোট্ট একটি কামরায় তার লাশ পাওয়া যায়।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সিরাজুল ইসলাম দ্যারিপোর্টকে জানান, শনিবার ভোরে ইসরাফিলের লাশ কমলাপুরের একটি অস্থায়ী কাউন্টার থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি শুক্রবার টিকিট বিক্রি করে ওই কাউন্টারের সঙ্গে থাকা ছোট্ট একটি কামরায় ঘুমিয়েছিলেন। রাতের কোনো একসময় দুবৃর্ত্তরা তাকে বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা কাউন্টারের বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যায়।
নিহত ইসরাফিল রেলওয়ের মাস্টার রোলের কর্মচারী।
ঈদ ও পূজা ঘিরে এবার রেল টিকিটের চাহিদা অন্যবারের চেয়ে বেশি। গত কয়েকদিন ধরে অস্থায়ী কাউন্টার বসিয়ে কমলাপুরে আগাম টিকিট বিক্রি করছিলেন রেলকর্মচারীরা।
(দ্যারিপোর্ট২৪/এমএআর/জেএম/অক্টোবর ০৫, ২০১৩)