ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের অনুমোদন
ইউনিটটি চালূ হলে গ্যাস ভিত্তিক এ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ৪৪০ মেগাওয়াট। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়বে এক টাকা ৬৯ পয়সা।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বুধবার তৃতীয় ইউনিট স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সভাপতিত্ব করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ঘোড়াশাল অনেক পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নিয়মিত এর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন হচ্ছে। গ্যাস ভিত্তিক নতুন এ ইউনিটটি হবে কম্বাইন্ড সাইকেল।
তিনি আরো বলেন, পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে ৯৪ হাজার কনক্রিটের (এসপিসি পোল) খুঁটি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনটি লটে খুঁটিগুলো কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮৮ কোটি এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ, তিনটি সাব-প্যাকেজে ৯৪ হাজার খুঁটি সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ৪৮-১১০ নং প্যাকেজে ৩০ হাজার ছয়শ, ৪৮-১১১ প্যাকেজে ৩১ হাজার আটশ এবং ৪৮-১১২ নং প্যাকেজে ৩১ হাজার ছয়শ খুঁটি কেনা হবে।
৩০ হাজার ছয়শ খুঁটি কিনতে ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এ প্যাকেজের দরপত্র পাচ্ছে মেসার্স দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। ৩১ হাজার আটশ খুঁটি সরবরাহের কাজ পাচ্ছে মেসার্স কনটেক কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। এতে ব্যয় হবে ৬৩ কোটি চার লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এছাড়া ৬৩ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার টাকায় সংগ্রহ করা হবে ৩১ হাজার ছয়শ খুঁটি। এ কাজের দরপত্র পেতে যাচ্ছে মেসার্স কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড।
এদিকে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে মাওয়া অংশে সংযোগ সড়ক ও সেতু প্রান্তের অবকাঠামো নির্মাণ কাজের একাংশের ঠিকাদার নিয়োগের দরপ্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এ খাতে নির্ধারিত ব্যয়ের পরিমাণ এক হাজার ২৯০ কোটি ৮০ লাখ টাকা হলেও ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় এক অংশের কাজ পাচ্ছে বাংলাদেশের আব্দুল মোনেম লিমিটেডের (এএমএল) সঙ্গে যৌথভাবে মালয়েশিয়ার এইচসিএম ইঞ্জিনিয়ারিং।
জাজিরা প্রান্তেও পদ্মা সেতুর সার্ভিস এলাকা নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে এ কাজ পেয়েছে আব্দুল মোনেম লিমিটেড।
১১৭ কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার টন গম কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে ক্রয় কমিটির বৈঠকে। গম আমদানির এ দরপত্র পেয়েছে মেসার্স স্মাইল ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড। প্রতি মেট্রিক টন গম আমদানির খরচ পড়বে ২৩ হাজার ৪৮৩ টাকা (২৯৭.২৬ মার্কিন ডলার)। প্রতি কেজির দাম পড়বে ২৩ টাকা ৪৮ পয়সা।
‘কনস্ট্রাকশন অব ইলেকশন রিসোর্স সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দুটি বেজমেন্টসহ ১১তলা বিশিষ্ট ইলেকশন কমিশনের ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে বৈঠকে। এতে ৭৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে। কাজ পেয়েছে টিইএএল-টিবিএল কনসোর্টিয়াম।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নরত ‘ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লন রিকভারি অ্যান্ড রিস্টেরশন প্রজেক্ট’ এর আওতায় ‘নদী তীর উন্নয়ন কর্মসূচির কারিগরি সম্ভাব্যতা যাচাই এবং বিস্তারিত কারিগরি নকশা প্রণয়ন’ নামের সমীক্ষা পরিচালনার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৩৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকায় যৌথ প্রতিষ্ঠান ফিচনার জিএমবিএইচ (জার্মানি) এবং নর্থ-ওয়েস্ট হাইড্রোলিক কনসালটেন্ট লিমিটেড (কানাডা) এ কাজ পেয়েছে।
কক্সবাজারের সরকারি জমিতে আবাসন প্রকল্পের জন্য ছয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
২৫ মেট্রিক টন করে ৫০ টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এছাড়া চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় ও চট্টগ্রাম ওয়াসার ‘চিটাগাং ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সেনিটেশন’ প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সভায়।
(দিরিপোর্ট২৪/রানা মাসুদ/আইজেকে/এমএআর/অক্টোবর ২৩, ২০১৩)