‘বিজয় মঞ্চ’ করার নির্দেশ মহানগর আ’লীগের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ‘বিজয় মঞ্চ’ করার নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার বিকেলে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া বিজয়ের মাসে আওয়ামী লীগ ঘোষিত সব কর্মসূচি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বর্ধিত সভায়। এ লক্ষ্যে বুধবার নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকার সংসদ সদস্যরা বিশেষ সভা করবেন।
বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আইনপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সমঝোতার জন্য বিদেশিরা যতই চেষ্টা করুক বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একগুয়েমির কারণে তা সম্ভব হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনা হচ্ছে। আমরাও চেষ্টা করছি, বিদেশিরাও চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসবে না। তাই সমঝোতাও চায় না। তাদের (বিএনপি) টার্গেট নির্বাচন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার না। তাদের টার্গেট যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা, দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা। তারা আসলে আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে চায়।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় যে কোনো সময় কার্যকর হবে জানিয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। অনেকগুলো রায় হয়ে গেছে। আরও রায় হবে। কাদের মোল্লার পূর্ণাঙ্গ রায় হয়েছে। তার রায় সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা তাদের (জামায়াত) আস্ফালন দেখেতে চাই না।’
এ সময় রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে সেজন্যে মহানগররে প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় ‘বিজয় মঞ্চ’ গড়ে তোলার আহ্বান জানান মহানগরের এ নেতা।
তিনি বলেন, ‘বিজয়ের মাসে রাজাকারদের লাফালাফি করতে দেওয়া হবে না। তারা দেশেকে জিম্মি করে রাখবে আর আওয়ামী লীগ মুখ বুঝে সহ্য করবে তা হবে না। আমরা মায়া ভাইয়ের নেতৃত্বে এ বিজয়ের মাসে তাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেব না।’
কামরুল বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। আর তারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা একাত্তরের চেয়ে ভয়াভহ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছি। দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষে এ দুইটি শক্তি রযেছে। এ যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ‘কতল’ করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মহানগর আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া । এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর আওয়ামী লীগ বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/নূরু/এনডিএস/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৩)