বাহরাম খান, দ্য রিপোর্ট : ‘শুনেছি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকে নির্বাচিত হচ্ছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এ কয়জন কেন? যেভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগুচ্ছে তাতে ৩০০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে সমস্যা কোথায়?’

টিআইবি’র অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০১৩ উপলক্ষে সোমবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা।

রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এবং টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দুর্নীতির বিষয় উঠে এলেও সরকার পরোয়া করে না। তারা যেন কেয়ারলেস ভাব নিয়ে থাকেন। আগে দেখা যেতো দুর্নীতির প্রতিবেদনে নানা প্রতিক্রিয়া হতো। এখন সেটা হয় না। ভাবটা এ রকম যে যা পার লিখ। আমরা (সরকার) কেয়ারলেস’ বলেন এবিএম মূসা।

আবুল বাশার মোহাম্মদ মূসা তার বক্তব্যে বলেন, ‘সাংবাদিকতার এটা খুব ভালো সময়। এ সরকারের আমলে কোনো সংবাদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদগুলো সরকার আমলেই নিতে চায় না। তাই হয়তো ভাবে যে যা লিখুক সমস্যা নেই। আমরা (সরকার) তো আমলে নিচ্ছি না।’

তিনি মফস্বল সাংবাদিকদের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গিয়ে মফস্বল এলাকায় সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হন।’

বিদেশি অতিথিদের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে এবিএম মূসা বলেন, ‘তারা আসেন তাদের নিজেদের স্বার্থে। সুজাতা সিং বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে আসেন। আমাদের তিস্তা চুক্তির খবর কী? তিনি খালেদা-হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তা ঠিক আছে। কিন্তু এরশাদের সঙ্গে কেন? নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অনেক আলোচনা শুনেছি। কিন্তু টিকফা চুক্তির পর তাদের কথা বেশি শোনা যাচ্ছে না। কারণ কি?’

(দ্য রিপোর্ট/বিকে/সাদি/এনডিএস/ডিসেম্বর ০৯,২০১৩)