যশোর সংবাদদাতা : যশোরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পলাশ উদ্দিন (৩০) নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন রেন্টু (৩৫) নামে অপর এক ছাত্রদল সদস্য। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শহরের জজকোর্ট মোড়ে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে জানান, হত্যার প্রতিবাদে তারা তাৎক্ষণিক মিছিলের উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়াও বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয় জেলা ছাত্রদল।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ দ্য রিপোর্টকে জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে বোমা ও গুলির আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ব্যবসায়িক কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় পলাশ ও রেন্টু প্রতিদিনের মতো জজকোর্ট মোড়ে লাল্টুর চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে ৬ দুর্বৃত্ত এসে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আতকঙ্ক মোড়ের লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা পলাশ ও রেন্টুকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে পলাশের মাথায় ও রেন্টুর বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।

পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক এমকে আলম জানান, আহতদের দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও মস্তিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পলাশ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মারা যান। এছাড়া আহত রেন্টুর পায়ের গুলি ও শরীরে থাকা বোমার স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে। তিনি আপাতত শংকামুক্ত বলে জানান চিকিৎসক।

নিহত পলাশের স্বজনরা জানান, ১৫ দিন আগেও তার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। সে যাত্রায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। তবে কি কারণে হামলা চালানো হয় সে বিষয়ে তারা কিছুই জানাননি।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/নূরু/এমএইচও/এমডি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৩)