ঢাবি প্রতিবেদক : ম্যান্ডেলাকে নিয়ে লেখা গান ও কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে সোমবার এই লড়াকুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ এ স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

প্রথমে সম্মিলিতভাবে গান করেন আয়োজক গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মঞ্চের পাশে রাখা ম্যান্ডেলার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে হাজির ছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, আরণ্যক, কণ্ঠশীলন, বাংলাদেশ শিশু সংগঠন ঐক্যজোট, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, আনন্দন-বহ্নিশিখা ও বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদসহ আরও কিছু সংগঠন।

সদ্য প্রয়াত বিশ্বনেতা নেলসন ম্যান্ডেলা সম্পর্কে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘তিনি ছিলেন নির্যাতিত মানুষের নেতা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, স্বাধীনতার লড়াই– সব সংগ্রামে তিনি নেতৃত্বে ছিলেন। মানুষটি ছিলেন বাংলাদেশের বন্ধু।’

নাট্যকার মামুনুর রশিদ বলেন, ‘তিনি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নিজে লড়াই করেছেন এবং অন্য বর্ণবাদীদের কখনও প্রশ্রয় দেননি। আফ্রিকার সংখ্যাগুরু কৃষ্ণাঙ্গ নেতা হয়েও তিনি মন্ত্রিসভায় শ্বেতাঙ্গদের স্থান দিয়েছিলেন।’

গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর বলেন,‘তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে ক্ষমতার মোহের উর্ধে থেকে জনগণের কাছে আসা যায়। জনগণের সান্নিধ্য পেতে হলে অবশ্যই অহিংসবাদী হতে হবে।’

সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/নূরু/এইচএস/এমডি/ ডিসেম্বর ০৯, ২০১৩)