দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্স। খবর পুরনো। তবে এই দলের নেপথ্যের কারিগর নিয়ে ভিন্ন এক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সম্প্রতি  যে দলের সঙ্গে সেই দলই দারুণ কিছু করে দেখাচ্ছে। তার নাম লুৎফর রহমান বাদল। গাজী ট্যাঙ্ক শুধু চ্যাম্পিয়নই হয়নি ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই ছাড়িয়ে গেছে অন্য দলগুলোকে। এমন দলের ক্রিকেটাররাও মহাখুশি। কারণ পারিশ্রমিক নিয়েও নেই কোনো ঝামেলা।

পারিশ্রমিকের ব্যাপারে গাজী ট্যাঙ্কের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যে আমিসহ আমার দলের ক্রিকেটাররা ৭০% টাকা বুঝে পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী বাকি ৩০% টাকার বিপরীতে চেক দেয়া রয়েছে।’

অথচ ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’ পদ্ধতিতে দলে খুব ভালো দেশি ক্রিকেটার ভেড়াতে পারেনি গাজী। মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস, আরাফাত সানি, রকিবুল হাসান, রুবেল হোসেন, আফতাব আহমেদের মতো ক্রিকেটারদের রোটেশন পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে পেয়েছে। অথচ আসর শেষে তারাই মাত করেছে লিগ। এ ব্যাপারে লুৎফর রহমান বাদল জানিয়েছেন, ‘ক্রিকেটারদের সবসময় আমরা মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখি। পারিশ্রমিক নিয়ে ক্রিকেটারদের অনেক চিন্তায় থাকতে হয়। সেই স্থানটিতে আমরা ক্রিকেটারদের নির্ভার রেখেছি। সঙ্গে ভালো নৈপুণ্যের জন্য রাখা হয়েছে পুরস্কারও। ফলে ক্রিকেটাররা খেলায় মনোযোগী হতে পারে। সেরাটা দিতে পারে। চিন্তামুক্ত খেলতে পেরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গাজী; ওটাই আসল টনিক।’

ব্যাটিংয়ে স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ১৬ ম্যাচ খেলে ৪৩.৬৭ গড়ে সর্বোচ্চ ৬৫৫ রান করেছেন। বল হাতে আরাফাত সানি ১৬ ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি ২৯ উইকেট নিয়েছেন। ফিল্ডিংয়ে উইকেটের পেছনে থেকে ১৬টি ক্যাচ ধরাসহ ২টি স্ট্যাম্পিং ও ১টি রান আউট করেছেন। এ ৩ ক্রিকেটারই গাজীর।

দেশি ক্রিকেটার ছাড়াও গাজী নিউজিল্যান্ডের স্কট স্টাইরিস, জেকব ওরাম, শ্রীলঙ্কার ভিরারত্নে, পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ড ক্রিকেটার উসমান তারিক, হল্যান্ডের ডয়েশচেট ও ইংল্যান্ডের ইয়ান মরগানদের উড়িয়ে এনেছে। এ জন্য বিপুল পরিমাণ টাকাও খরচ করতে হয়েছে তাদের। দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ (১৫ লাখ), ইমরুল কায়েস (১৫ লাখ), আরাফাত সানি (১০ লাখ), নাঈম ইসলাম জুনিয়র (২.৫০ লাখ), নূর হোসেন (৮ লাখ), রকিবুল হাসান (১০ লাখ), হামিদুল ইসলাম (৫ লাখ), রুবেল হোসেন (১০ লাখ), আফতাব আহমেদ (৮ লাখ), শহীদ (১ লাখ), আনোয়ার হোসেন (২.৫০ লাখ), রিয়াজুল ইসলাম (১ লাখ), ইমন আহমেদ (১ লাখ), রিয়াজুল করিম (২.৫০ লাখ), শেখ তরিকুজ্জামান (১ লাখ) খেলেছেন। দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক এরইমধ্যে বুঝে পেয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করেছে গাজী ট্যাঙ্ক।

তবে এটা বলা অন্যায় হবে না; ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে দারুণ সফল বাদল। তার হাতেই মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারপর ভিক্টোরিয়ায় যোগ দিয়ে সেখানেও শিরোপা। এবার তার হাতে সেরা গাজী ট্যাঙ্ক!

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/নূরু/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ৯, ২০১৩)