দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হাতে ৩ মাস থাকলেও ঘরের মাঠে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ। এই আসর ঘিরে স্বপ্ন থাকাটাই স্বাভাবিক। বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশ। অবশ্য চূড়ান্ত পর্বে। এর আগে বাছাইপর্ব। প্রথম টার্গেট সামনে রেখে আগে-ভাগেই অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। শুরু হওয়া মিশনে সোমবার ক্রিকেটারদের ফিটনেসের কী অবস্থা তা যাচাইয়ের জন্য স্ক্রিনিং টেস্ট নেওয়া হয়েছে।

গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা লিগ শেষে প্রথমবারের মতো অনুশীলন শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ জাতীয় দল ও ‘এ’ দলের ৩টি টোয়েন্টি২০ ম্যাচের সিরিজ হবে। ওই সিরিজ শেষে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডের জন্য ক্রিকেটার বাছাইয়ের কাজ করবেন নির্বাচকরা।

সবার আগে প্রয়োজন ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাই। তাই অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করেছে বিসিবি। স্ক্রিনিং টেস্ট সম্পর্কে জাতীয় দলের প্রধান কোচ শেন জার্গেনসন বলেছেন, ‘এটা ক্রিকেটারদের ইনজুরি আছে কিনা তা জানার পরীক্ষা। যদি কারো ইনজুরি থাকে তাহলে টেস্টে ধরা পড়বে। তবে আজকের স্ত্রিনিং টেস্টের পর আমি অনেক সন্তুষ্ট। সেই ধরনের কিছু ধরা পড়েনি।’

টোয়েন্টি২০ সিরিজ নিয়ে জার্গেনসন বলেছেন, ‘সামনে আমাদের টোয়েন্টি২০ চ্যালেঞ্জ কাপ রয়েছে। এখানে ৩টি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে এবং ভালো প্রস্তুতি হবে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সর্বশেষ সিরিজে (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে) একটি টোয়েন্টি২০ খেলার পর এ ধরনের ম্যাচ খেলেনি; সেক্ষেত্রে নতুন করে গুছিয়ে উঠতে তা দারুণ সহায়ক হবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলার আগে আমরা বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় পাব। এই প্রস্তুতি আমাদের বেশ কাজে লাগবে। ক্রিকেটারদের নৈপুণ্য পর্যালোচনা করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উপযুক্ত দল গঠন করতে যা খুব সহায়ক হবে।’

টোয়েন্টি২০ সিরিজে তামিম খেলবে না। সিরিজে না খেললেও অনুশীলন করেছেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। ইনজুরি কাটিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তামিমের ব্যাপারে কোচ বলেছেন, ‘তামিম ভালো আছে; অনুশীলন করেছে। সর্বশেষ এক সপ্তাহ সে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল। সে দ্রুতই ফিরে আসছে। ওর অবস্থা বেশ ভাল। স্ক্রিনিং টেস্টে তেমন সমস্যা ধরা পড়েনি তার।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/নূরু/সিজি/এএস/ডিসেম্বর ৯, ২০১৩)