দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পরিবারের ভেতরেই শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু এ প্রসঙ্গে সমাজের কেউ মুখ খুলতে চায় না। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও পাঠদানে নিরুৎসাহিত হন। এ ধরনেরই তথ্য উঠে এসেছে বে-সরকারি সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের উদ্যোগে সোমবার অনুষ্ঠিত এক সংলাপে।

সংলাপে বক্তারা শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয় প্রচার হওয়ার প্রতি জোর দেন। তারা বলেন, এ বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি আমাদের সকলকে মুখ খোলা উচিত। পরিবারের ভেতরে শিশুদের যৌন নির্যাতনের বিষয়ে মামলা করার উপরও জোর দেন বক্তারা।

শিশু অধিকার ও শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে কমিউনিটি উদ্যোগের বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংস্থার সংশ্লিষ্টদের এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন সংগীত শিল্পী কৃষ্ণ কলি ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাবেরী গায়েন, চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার, ফৌজিয়া আখতার প্রমুখ। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংস্থার চেয়ারম্যান তাসলিমা ইসলাম।

সংলাপে তাসলিমা ইসলাম জানান, সরকার যৌন শব্দটি শিক্ষা পাঠ্যক্রমে ঢুকাতেই আপত্তি জানাচ্ছে।

শিশু যৌন নির্যাতন প্রসঙ্গে সংগীত শিল্পী কৃষ্ণ কলি ইসলাম প্রশ্ন রাখেন, শিশু যৌন নির্যাতন সম্পর্কে আমাদের কি কোন স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। শিশুদের এ ধরনের নির্যাতনের জন্য সমাজে স্পষ্টভাবে কথা বলা উচিত।

বক্তারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে এ বিষয়ে সকলকে সচেতন করার প্রতি জোর দেন। তারা বলেন, যৌন নির্যাতনের বিষয়ে সমাজে সচেতনতা গড়ে তোলা হলেও শিশুদের যৌন নির্যাতন প্রসঙ্গে তেমন স্পষ্ট ধারণা এখনও গড়ে ওঠেনি।

বক্তারা আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে অনেক বেশি কথা বলা উচিত। যত বেশি কথা হবে এ বিষয়ে তত বেশি চর্চা হবে। ইভটিজিং ও পর্ণোগ্রাফির নেতিবাচক দিক নিয়ে সকলকে সচেতন করার বিষয়েও বক্তারা মত দেন।

‘যৌন নির্যাতনের বিষয়ে সমাজে নীরবতা চলছে’- এমন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, এ বিষয়ে আমাদের নিরবতা ভেঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএস/এমএআর/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৩)