দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পুরুষ ও শাস্ত্রশাসিত সমাজ আদিকাল থেকে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। দেশ-সমাজ-সময় ও পরিপার্শ্বের অজস্র সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে শুধু নারীমুক্তি নয় বরং বৃহত্তর সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন রোকেয়া।

আজকের বাংলাদেশে যখন ফতোয়াবাজি, ধর্মান্ধতা ও বস্তুগত স্বার্থের নিগড়ে নারীকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা হয় তখন অনুধাবন হয় যে রোকেয়ার কাক্ষিত নারী-পুরুষ সমতার সমাজ এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

৯ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘রোকেয়া : প্রথম নারীবাদী?’ শীর্ষক বক্তৃতায় অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ এসব কথা বলেন।

একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক জাহেদা আহমদ, নারীনেত্রী মালেকা বানু, ফওজিয়া মোসলেম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে আয়েশা খানম বলেন, ‘রোকেয়া তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিকভাবে তাঁর নারীমুক্তির দর্শনকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামের প্রবল প্রান্তিক পরিবেশ থেকে তিনি মুক্তির বিশাল দিগন্তের দিক-নির্দেশনা রেখে গেছেন। তাঁর রচনায় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মধ্য দিয়ে যেমন সামাজিক অচলায়তনকে চিহ্নিত করেছেন তেমনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একটি সমতাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘রোকেয়া একইসঙ্গে সংস্কারক ও সংগঠক। গণতান্ত্রিক-মানবিক সমাজ গঠনের অন্যতম পথিকৃত রোকেয়ার অনন্যসাধারণ রচনাকে অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্বের বিদ্ব্যৎ-সমাজের কাছে পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/ এমডি/ডিসেম্বর০৯, ২০১৩)