প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২ মাসের মধ্যে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ১৭ জেলায় বাতিল হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী দুই মাসের মধ্যে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হলেও আমরা যতটা তথ্য পেয়েছি, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুও করেছি। আমাদের আরো একটু সময় দিতে হবে।’
মন্ত্রী জানান, সামনে নির্বাচন থাকায় দুই মাসের মধ্যে বাতিল হওয়া পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়ায় ১৭ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার, লালমনিরহাট, নেত্রকোনা, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা, পাবনা, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী, মেহেরপুর, খুলনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।
প্রায় সাত হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৮ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য তিন জেলা ছাড়া এ পরীক্ষা দেশের ৬১টি জেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ১২৭ জন অংশ নেন।
পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠায় ১১ নভেম্বর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আলমগীরের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এ্ইচএস/শাহ/এমডি/ডিসেম্বর ১০, ২০১৩)