‘প্যাসেঞ্জারবিহীন নির্বাচনী ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছবে না’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছেন, ‘প্যাসেঞ্জারবিহীন নির্বাচনী ট্রেন যেভাবে দ্রুতগতিতে চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছার বৃথা চেষ্টা করছেন, জনতার প্রতিরোধে অন্ধকারমুখী এ ট্রেন কোনো দিনই গন্তব্যে পৌঁছাবে না।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ১৮ দলের ডাকা অবরোধের চতুর্থ দিনের চিত্র তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শাশীম, আসাদুল করিম শাহীন।
নজরুল ইসলাম খান সংলাপের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যারা সরকারে আছে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে তারা নির্বাচন দিতে সম্মত হবে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রামে সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ পথে নেমে এসেছে। রাস্তায় রাস্তায় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এতেই তো সরকারের দাবি মেনে নেওয়ার কথা। এরপর বিদেশি যে বন্ধুরা আছেন, তারা অতিরিক্ত ।’
নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘বিরোধী দলকে বাইরে রেখে ফটোসেশনের নিবার্চন করে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে সরকার। তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাচ্ছে। সরকারের তল্পিবাহক এ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণ এখন ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। পাতানো নির্বাচন জনগণ কোনো দিন সফল হতে দেবে না।’
নিবার্চন কমিশনকে হুঁশিয়ার করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনমনে স্বস্তি দিন। না হলে জনগণ আপনাদের দিবাস্বপ্ন সফল হতে দেবে না। দেশের জনগণ আওয়ামী শাসনের হিসাব কড়ায় গণ্ডায় আদায় করে নেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর ৩৮ ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমন, ছাত্রদল নেতা আব্দুল কাদের ভূঁইয়া সুমন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের মো. রাসেল মিয়া এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকার মৎস্যজীবী দল নেতা মো. আল আমিনকে সাদা পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করে। এখনও তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
(দ্য রিপোর্ট/টিএস/নূরু/এমএইচ/এইচএস/এনডিএস/ডিসেম্বর ১০, ২০১৩)