ডিএসই-ব্যাংক ব্রোকার বৈঠক
পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ছাড় ও বিএবির সঙ্গে বসার সিদ্ধান্ত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে পুনঃঅর্থায়নের ৯শ’ কোটি টাকা ছাড় করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে ব্যাংক ব্রোকারদের অনুরোধ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে বিশেষ প্রভিশনিং (সঞ্চিতি) সুবিধার মেয়াদ চলতি বছর যাতে শেষ করা না হয় সে বিষয়ে ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবি’র সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ব্রোকারদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে ডিএসইর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকটি ডিএসইর বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ডিএসইর সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান খান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘পুনঃঅর্থায়নের ৯শ’ কোটি টাকা চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে কিভাবে সহজেই ছাড়া করা যায় সে বিষয়ে ব্যাংক ব্রোকারদের প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উপস্থিত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ব্রোকারদের বলেছে। তাদেরকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পুনঃঅর্থায়নের পুরো অর্থ ছাড় করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে সহায়তা তহবিল বাস্তবায়ন কমিটির সঙ্গে ডিএসইর সভাপতি বৈঠক করবেন। এছাড়া ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসেসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিশেষ সুবিধার (২০ শতাংশ) মেয়াদ যেন বাড়ানো হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালকদের অবহিত করতে বলা হয়েছে।’
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাংক ব্রোকারদের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে ডিএসই। বৈঠকে এ বিষয়ে নমনীয় হওয়ার আশ্বাস দেন গভর্নর।
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর বিকেলে ডিএসইতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে ২০ শতাংশ প্রভিশনিং সুবিধা আরও দু’বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল ব্যাংক ব্রোকাররা। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে ২২টি ব্যাংক ব্রোকারের ৫ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা আনরিয়েলাইজড লস রয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রভিশন সংরক্ষণের বিশেষ নির্দেশনা (২০ শতাংশ) পালন করতে হবে। কিন্তু ২২টি ব্যাংক ব্রোকার এ শর্ত পরিপালনে সক্ষম হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে ব্যাংক ব্রোকাররা আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিশেষ সুবিধা আরও দু’বছর বাড়ানোর দাবি জানায়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নূরু/এইচকে/ডিসেম্বর ১০, ২০১৩)