দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় দল ও ‘এ’ দলের মধ্যকার ৩টি টোয়েন্টি২০ ম্যাচের চ্যালেঞ্জ সিরিজ শুরু হচ্ছে বুধবার। বিকেল ৫টায় প্রথম টোয়েন্টি২০ ম্যাচটি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন দ্বিতীয় ম্যাচটি একই ভেন্যুতে একই সময়ে শুরু হলেও ১৪ ডিসেম্বর ম্যাচটি সকাল ৯ টায় শুরু হবে।

সিরিজ শুরু হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু অবরোধ, হরতালের কথা মাথায় রেখে একদিন পিছিয়ে শুরু হচ্ছে সিরিজ। অবরোধ থাকলেও পেছানো হচ্ছে না। এ নিয়ে সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। সেই আতঙ্ক থেকে অনুশীলন শেষে নাসির বলেছেন, ‘এটা দেখার জন্যে বিসিবি আছে, বোর্ড আছে। আমরা এতটা ইনভলভ না। আমি এ ব্যাপারে কথা বলতে চাচ্ছি না।’

‘এ’ দলের অধিনায়ক নাসির এ বিষয়ে কথা না বললেও জাতীয় দলকে হারানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। বলেছেন, ‘টোয়েন্টি২০ খেলা। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জাতীয় দল বলে কোনও কথা নেই। এ দলে যেসব খেলোয়াড় আছে তারাও অনেকেই ভবিষ্যতে জাতীয় দলে খেলবেন। আমার মনে হয় যদি আমরা ভালো খেলতে পারি; তাহলে ওদের (জাতীয় দল) হারানো সম্ভব।’

টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে এখনই অনুশীলন করছে ক্রিকেটাররা। নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে। জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন- অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, এনামুল হক বিজয়, শামসুর রহমান, সকিব আল হাসান, নাঈম ইসলাম, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, আবদুর রাজ্জাক, সোহাগ গাজী, মাশরাফি বিন মর্তুজা, জিয়াউর রহমান, রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেন।

আর ‘এ’ দলে নাসিরের সঙ্গে খেলবেন-জহুরুল ইসলাম অমি, মো. মিঠুন, ইমরুল কায়েস, মমিনুল হক, মার্শাল আইয়ুব, সাব্বির রহমান, নাজমুল হোসেন, ফরহাদ রেজা, আরাফাত সানি, ইলিয়াস সানি, মুক্তার আলী ও আলাউদ্দিন বাবু।

এমন ম্যাচ খেলে কী কোনো লাভ হয়, প্রতিযোগিতা থাকে? নাসির জানান, ‘প্রতিযোগিতা অবশ্যই থাকে। ‘এ’ টিমে অনেকেই আছে যাদের জন্যে জাতীয় দলের দরজা নক করছে। এ দলে যারা থাকে তারা সবসময় সিরিয়াস থাকে। পারফরম্যান্স করতে চাই। আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জিং তো হবেই। কেননা জাতীয় দলের সঙ্গে খেলা। আমরাও চাইব জাতীয় দলকে হারাতে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ১০, ২০১৩)