অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো তার বাংলাদেশ সফরের মেয়াদ বাড়িয়েছেন। মঙ্গলবার ছিল তার সফরের শেষ দিন। আরো ২৪ ঘণ্টা তিনি বাংলাদেশে থাকছেন। ফেরার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক ও নিজের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল যা তিনি পিছিয়ে দিয়েছেন। এ দুটি হবে বুধবার। এমনিতেই তার সফরকে ঘিরে দেশে বিদেশে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। আর সফরের মেয়াদ বাড়ানোয় তা আরো ডালপালা বিস্তার করতে শুরু করেছে। কোনো কোনো মহল মনে করছেন, চার দিনের সফরে কোন সফলতা না আসায় আরো একটু সময় নিলেন তারানকো। অনেকে আবার মনে করছেন, সাফল্যের আলোকরশ্মি দেখেই তারানকো তার সফরের মেয়াদ বাড়িয়েছেন।

তারানকোর এই সফর নিয়ে ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের মতামত জানানোর চেষ্টা করেছি। অন্যদের মতো আমরাও তার সফর নিয়ে আশা নিরাশার দোলাচলের মধ্যে সময় পার করছি। তবে আমাদের সীমিত জ্ঞান এবং পর্যবেক্ষণ দিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি বাস্তবতার কাছাকাছি পৌঁছাতে। তারানকোর সফর প্রলম্বিত হওয়াতে আমরা আশান্বিত হতে চাই। যদিও আমরা মনে করি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান অতীতের মতো এবারো রাজপথেই মিলবে। তবে অন্য সময়ের চেয়ে এবারের সংকটে যে নতুন উপাদান যুক্ত হয়েছে তাতে আলোচনায় সমাধান না হলে রাজপথের মীমাংসা হবে আরো প্রলম্বিত এবং আরো রক্তক্ষয়ী। সেটা বাংলাদেশের সীমানাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। শান্তিকামী মানুষ হিসেবে যা আমাদের চাওয়ার নয়।

দেশের আর দশ জন সাধারণ মানুষের মতো আমরাও সংকট সমাধানের পক্ষসমূহের দায়িত্বশীল আচরণের পক্ষে। তবে সেই আচরণের ব্যর্থতায় তৃতীয় কোনো মহল যদি এগিয়ে আসে আমরা তাকেও অনাহুত মনে করি না। এক্ষেত্রে আমরা তৃতীয় পক্ষের সদিচ্ছার পাশাপাশি তার সামর্থ্যকে গুরুত্ব দিতে চাই। অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো যদি বাংলাদেশে শুধু সদিচ্ছা ও ব্যক্তিগত যোগ্যতা দিয়ে মীমাংসায় পৌঁছাতে চান তাতে সফলতা মেলা ভার। আর যদি জাতিসংঘের একজন দায়িত্বশীল দূত হিসেবে তারানকো সামর্থ্যবান হয়ে থাকেন তাহলে বুধবার তার মুখ থেকে একটি সুসংবাদ মিলতে পারে। আবার মিলতে পারে আশঙ্কিত হওয়ার মতো বার্তাও।