চট্টগ্রামে বিজিবি মোতায়েন
সংঘাত ও নাশকতা ঠেকাতে নগরী ও জেলায় পুলিশ ফোর্সও বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিশ লাইনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০ প্লাটুন বিজিবি।
বৃহস্পতিবার থেকে বিএনপি টানা চার দিন এবং আওয়ামী লীগ টানা তিন দিন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ নগরে আজ ভোর ছয়টা থেকে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তিনি বলেন, ‘জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গোটা চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি।’
দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নাশকতা এড়াতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
নগর পুলিশের উপ কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল-হাসান জানান, বিজিবি মোতায়েনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে বিজিবি নগরীতে টহল শুরু করেছেন। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের তত্ত্বাবধানে বিজিবি সদস্যরা নগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে জেলার ১৬ থানার জন্য ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্যকে হালিশহর পুলিশ লাইনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, বিজিবি সদস্যরা স্ট্যান্ডবাই থাকবেন। নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা মাঠে নামবেন।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে প্রায় ৬০০ অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স লালদিঘীর মাঠ ঘিরে সাতটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। শিল্প পুলিশ ও এপিবিএন থেকে ৩০ জন করে ৬০ জন এবং রিজার্ভ ফোর্স থেকে ৫৪০ জন এনে প্রাথমিকভাবে তাদের অতিরিক্ত ফোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
একইভাবে ভোর ৬টা থেকে জেলা রিজার্ভ পুলিশ থেকে ৭’শ সদস্যকে অতিরিক্ত ফোর্স হিসেবে বিভিন্ন উপজেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সীতাকুন্ড, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মাঠে নেমেছে।
(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/জেএম/অক্টোবর ২৪, ২০১৩)