বান্দরবান সংবাদদাতা : বান্দরবানের হলুদিয়া থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে গাছে ফেলে অবরোধ করে রেখেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।

সড়কের বাজালিয়াসহ কয়েকটি স্থানে লাঠি নিয়ে মারমুখী অবস্থানে দেখা গেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের। এ সময় তারা কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে।

জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা কার্যকরের প্রতিবাদে বুধবার ভোররাত থেকেই বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের হলুদিয়া, কলঘর, বাজালিয়া এবং দৈস্তিদারহাট এলাকাসহ কয়েকটিস্থানে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে অসংখ্য গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ বাবুল জানান, রোগী নিয়েও অ্যাম্বুলেন্স বান্দরবান ছেড়ে যেতে পারছে না। বাধ্য হয়ে ভ্যানগাড়িতে করে রোগী নিয়ে যেতে হচ্ছে।

এদিকে বুধবার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া বাইতুল ইজ্জত বিজিবি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আমন্ত্রণে বাইতুল ইজ্জত যাওয়ার সময় মাঝপথে আটকে যায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য্য এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর তারা বিকল্প পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, ‘জামায়াত-শিবিরের সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুরের খবর পোয়েছি। তবে এলাকাটি সদর থানার আওতাধীন না হওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না।’

(দ্য রিপোর্ট/এএসবি/শাহ/এমসি/ডিসেম্বর ১১, ২০১৩)