রাজধানীতে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ২
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন সাতজন। আটক করা হয়েছে দুই শিবিরকর্মীকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান থানাধীন শাহজাদপুরে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা পিকেটিং শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ফোন কেটে দেন।
সোয়া ৯টার দিকে বাড্ডার নতুনবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তারা রাস্তায় থাকা বাস একযোগে ভাঙচুর শুরু করে। দুটি সিএনজি অটোরিকশাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ বাধা দিলে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হাসান।
একই সময় খিলগাঁও এলাকায় শিবিরকর্মীরা মিছিল বের করে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। তারা একটি বাসে আগুন দেয়। এ ছাড়া ৮ থেকে ১০টি লেগুনা ভাঙচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক শিবিরকর্মীকে আটক করে।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার সময় পুলিশ ধাওয়া করলে তারা স্থান ত্যাগ করে।
তিনি জানান, এ সময় একজনকে আটক ও দুই বোতল পেট্রোল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রামপুরা থানা পুলিশও একজনকে আটক করে।
সকাল ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরকর্মীরা জজকোর্ট এলাকায় মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তারা ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুড়ে। এতে শিবিরের পাঁচ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শিবির দাবি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটনা ঘটেনি।
(দ্য রিপোর্ট/এএইচএ/শাহ/এসবি/ডিসেম্বর ১১, ২০১৩)