রহিমা ফুডের লেনদেন তদন্ত করবে ডিএসই

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে রহিমা ফুডের শেয়ার দর অস্বাভাবিকহারে বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ (ডিএসই)। বুধবার এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর ডিএসইর পক্ষ থেকে রহিমা ফুডের কারখানা পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ডিএসইর পরিদর্শক দল দেখতে পান এ কোম্পানির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ এবং এর পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমান ১১ কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ১৩৬ টাকা।
এছাড়া নিরীক্ষক শাহ আলম মনসুর অ্যান্ড কোং সম্প্রতি রহিমা ফুডের অস্তিত্বে বিভিন্ন হুমকির কথা জানায়। পরবর্তীতে তা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
তারপরও এ শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে বাড়তে থাকায় বেশ কয়েকবার ডিএসইর পক্ষ থেকে এ কোম্পানিকে দর বাড়ার কারণ জানাতে নোটিশ দেওয়া হয়। জবাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে দর বাড়ার কোনও কারণ নেই বলে জানানো হয়।
এর আগে অস্বাভিকহারে শেয়ার দর বাড়ার কারণে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত রাখা হয়। স্থগিতাদেশের পর অর্থাৎ ২১ নভেম্বর ৪৪ টাকায় শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয়। পরের কার্যদিবস অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর শেয়ারটির দর প্রায় সাড়ে ৫ টাকা কমলেও এরপর থেকে একটানা বাড়তে থাকে এর দর। কোনও প্রকার সংশোধন ছাড়াই ১২ কার্যদিবসে এ শেয়ারের দর বাড়ে ৪৫.৯ টাকা বা ১১৮ শতাংশ।
এ প্রেক্ষাপটে উৎপাদনে না থাকা রহিমা ফুডের শেয়ার দর কি কারণে বাড়ছে তা খতিয়ে দেখবে ডিএসই।
রহিমা ফুড ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ২৫ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। এর মোট ২ কোটি ২০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক ৫২.৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৪.৯৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬.৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এ শেয়ারের বর্তমান পিই রেশিও ঋণাত্মক।
(দ্য রিপোর্ট/এইচকে/রা/ডিসেম্বর ১১, ২০১৩)