প্রাথমিক সমাপনী
সমাপনীতে ৪ জেলায় আংশিক প্রশ্ন ফাঁস : শিক্ষামন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় চার জেলায় দুটি বিষয়ে প্রশ্নপত্র আংশিক ফাঁস হয়েছে বলে জনিয়েছেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সচিবালয়ে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুধবার মন্ত্রী এ কথা জানান।
তদন্ত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্নপত্র আংশিক ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া ইংরেজি প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের ৮০ ভাগ মিল পাওয়া গেছে। অপরদিকে বাংলায় ৫০ শতাংশ মিল পাওয়া গেছে।’
ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর জেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি সার্বিকভাবে পরীক্ষার ওপর প্রভাব ফেলবে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘এর মাধ্যমে কেউ লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বৃত্তির ফলাফলেও প্রভাব পড়বে। আমরা উপজেলা ভিত্তিতে বৃত্তি দিয়ে থাকি। তাই আমরা বৃত্তি প্রদানে শিক্ষার্থী মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এবার বিশেষ ব্যবস্থা নেব।’
প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে নেপের কয়েকজন কর্মকর্তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে ও কোচিং সেন্টার জড়িত রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যাদের সন্দেহ হচ্ছে তাদের আরও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিছু কিছু ব্যবস্থা এখনই নেওয়া শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হবে। চূড়ান্তভাবে চিহ্নিত করা গেলে ফৌজদারি মামলা করা হবে।’
তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র প্রণয়নের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। বিজি প্রেসের ছাপাখানার আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি, যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়নে নেপের ওপর নির্ভর না করে সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বয়ে এ বিষয়ে সামর্থ বৃদ্ধি করা, নেপে বিজি প্রেসের প্রশ্নপত্রের প্রুফ রিডিং বাতিল করা ও চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক সমাপনীতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও কমিটি ১২ কর্মদিবসেই প্রতিবেদন দাখিল করেছে।’
কমিটি তদন্তের জন্য বিজি প্রেস, ময়মনসিংহের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ), বিভিন্ন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে বলেও জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমএইচও/এনডিএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৩)