শচিনের কারণেই দুরবস্থা!
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : একেই বলে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা। একদিনের সিরিজ হেরে এমনিতেই মনমেজাজ ভালো নেই ভারতের। রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার পেস খেলতে না পারার প্রসঙ্গ। যা স্বয়ং দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গই অবতারণা করেছেন৷ সঙ্গে আরো যখন বলেছেন, ‘ভারতীয় ড্রেসিংরুমে শচিন টেন্ডুলকার নামের কিংবদন্তির অভাব থাকায় এ অবস্থা।’ তখন তেলে বেগুনেই জ্বলে উঠেছেন ধোনি।
অবশ্য এর যৌক্তিক কারণও রয়েছে। শচিনের পারফরমেন্স বলছে সেই কথাই। শচিন ২০১০-১১ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছিলেন। ৩ টেস্টের সিরিজে ২টি সেঞ্চুরি ছিল তার৷ শুধু তাই নয়, ড্রেসিংরুমে শচিনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের উপস্থিতিরও একটা বড় ভূমিকা থাকত দলের পারফরমেন্সের উপর৷ প্রোটিয়াদের কোচের মুখে সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে৷ ডোমিঙ্গ বলেছেন, ‘শচিন বড় মাপের ক্রিকেটার৷ ড্রেসিংরুমেও ওর প্রভাব ছিল মারাত্মক৷ তাই তাকে আমাদের আউট করার চিন্তা এখন করতে হচ্ছে না৷’
একই সঙ্গে ভারতের চিরাচরিত ভাবে পেসের সামনে দুর্বলতার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন৷ তার কথায়, ‘এটা একটা বড় সুবিধা৷ এক দিনের সিরিজ শুরুর আগেই বলেছিলাম, ওদের পেস বলের বিপক্ষে খেলার মানসিকতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে৷ ইতিহাসই দেখিয়ে দিচ্ছে, আমাদের দেশের মাটিতে পেস খেলতে কখনই ওরা স্বচ্ছন্দ নয়।’ সঙ্গে ব্যাখ্যা করে বলছেন, ‘পেসই আমাদের শক্তি৷এই পেস অ্যাটাকের বিপক্ষে ছোট থেকে খেলেই বড় হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ছেলেরা৷ উপমহাদেশে সেখানে জোর দেওয়া হয় স্পিনের ওপর৷ এখানকার ক্রিকেটারদের ডিএনএ-র মধ্যে পেস খেলার উপকরণ রয়েছে।’
ডোমিঙ্গর কথা থেকেই পরিষ্কার, টেস্ট সিরিজেও আগুনে পেস আক্রমণই অপেক্ষা করছে শিখর-রোহিতদের জন্য৷ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ৭ ব্যাটসম্যান খেলানোর নীতি থেকে সরছেন না৷ তার বক্তব্য, ‘আমাদের দেশের পরিবেশে ভারতের মতো দেশের বিপক্ষে ৪ বিশেষজ্ঞ পেসার খেলানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তা ছাড়া ৭ ব্যাটসম্যান খেলানোর স্ট্র্যাটেজি তো খুবই সফল৷ আমি যত দিন কোচিং করছি তত দিন টেস্ট দলে খুব বেশি বদল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
শচিনের অনুপস্থিতি অনুভব করছেন টিম ভারতের সবাই। ধোনিও সেই কথাই বলেছেন। তবে একজন ক্রিকেটারকে একটি দল বছরের পর বছর পেতে পারেনা সেই কথাও বলেছেন। ওয়ানডে সিরিজে ভারতের ব্যর্থতাকে স্রেফ মিডল অর্ডারের ব্যর্থতাকেই ইঙ্গিত করেছেন।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/নূরু/সিজি/ডিসেম্বর ১০, ২০১৩)