দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কশিমন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের আইটিএফডির এজিএম কেএম ওয়াহিদুল হক সজল, মডার্নাইজেশন অ্যান্ড রিস্ট্রাকচারিং ডিভিশনের এজিএম মিসেস খাদিজা বেগম, এমডি’স সেক্রেটারিয়েটের ইও মনসুরুল হক, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগ-২ এর এজিএম মো. আনোয়ার হোসেন খান, পারসনাল ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের এজিএম মো. আশরাফ উল্লাহ, এডি ব্রাঞ্চেস ইন্সপেকশন অ্যান্ড মনিটরিং ডিভিশনের এজিএম এসএম মসফুর রহমান এবং শৃঙ্খলা ও আপিল বিভাগের এজিএম মো. মাছউদুল ইসলাম।

হলমার্ক কেলেঙ্কারির দায়ে মোট ৩৮টি মামলা দায়ের করে দুদক। সোনালী ব্যাংক হোটেল রূপসী বাংলা শাখা থেকে মোট ৩৭২ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে হলমার্কে সহযোগী পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ২৭টি মামলা করা হয়। মামলাগুলোর তদন্তের স্বার্থে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগটি বর্তমানে দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে। যেখানে গত ৭ অক্টোবর ফান্ডেড এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের দায়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের এ টিমের অন্যরা হলেন- উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা, সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান, মোছা. সেলিনা আক্তার মনি, মো. নাজমুচ্ছায়াদাত, উপ-সহকারী পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান এবং মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/নূরু/এনডিএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৩)