ডিসিসির কানুনগো মানিকের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের (ডিএনসিসি) কানুনগো মোহাম্মদ আলী ওরফে মানিকের প্রায় ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদকের ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের প্রধান উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা দ্য রিপোর্টকে জানান, মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসলে কমিশন তা পর্যালোচনাপূর্বক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। দুদক টিম ইতোমধ্যেই তাকে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্র তার কাছে চাওয়া হয়েছে। নথিগুলো হাতে পেলে তার সম্পদের গোপনীয় অনেক কিছু জানা যাবে।
দুদক সূত্র জানায়, মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ২০০৫ সালে তিনি ডিসিসি’র চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদানের চার বছর পার না হতেই তিনি সিনিয়রদের ডিঙ্গিয়ে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব নেন। এরপর দুই থেকে তিন বছর সময়ের মধ্যেই প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হন। তিনি বর্তমানে ডিএনসিসি’র সম্পত্তি শাখার কর্ণধার হিসেবে রয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, মানিক তার সব সম্পত্তি তার বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন, তার এলাকার নেতাকর্মী, গ্রামের গরিব লোকজনের নামে করেছেন। তিনি তার বাবা-মায়ের নামে কোম্পানি খোলেন। বাবার নামে বাড়ি-গাড়ি ক্রয় করেন, মায়ের নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আয়কর ফাইল খোলেন। এছাড়া তার একটি পত্রিকা ও একটি টেলিভিশন চ্যানেলে শেয়ারও রয়েছে। তার দু’টি গাড়ি রয়েছে। নিজ গ্রাম পুরানপুরে তিনি আলিশান এক অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকা।
রাজধানীর শ্যামলীতে ২ নম্বর রোড়ে তার নিজস্ব বাড়ি রয়েছে, যা চাকরিতে যোগদানের পর ক্রয় করা হয়েছে। শামীমা আক্তারের নামে পাঁচতলা বাড়ি কিনে দিয়ে মানিক তাকে বিয়ে করেন। নোয়াখালীর জয়াগবাজারে মানিকের কিছু নিজস্ব সম্পত্তি রয়েছে।
এছাড়া সিটি কপোরেশনের যেসব মার্কেটে তার হাতে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তিনি সব মিলিয়ে দুই শতাধিক দোকান তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও তার ঘনিষ্ঠ কিছু সাংবাদিকের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে এসব বরাদ্দ দিয়েছেন। এ জন্য তিনি একবার বরখাস্তও হয়েছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/নূরু/এনডিএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৩)