সায়েদাবাদে বাসে আগুন, দয়াগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর সায়েদাবাদে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে দয়াগঞ্জে মিছিল করে ৩/৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
সায়েদবাদে বাস টার্মিনালে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহ সুলতান নামে পার্কিং করা দূরপাল্লার একটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো ব-১৪৪১-৬৫। আগুনে গাড়িটি প্রায় সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এসময় গাড়ির ভেতরে রাখা যাত্রীদের লাগেজও পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এই বাসটিতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এদিকে সকাল ৮টার দিকে দয়াগঞ্জে ৩০-৪০ জনের শিবিরকর্মী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ১০-১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মিছিলকারীরা ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেললাইন দিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৮টার দিকে অবরোধের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের ৩০/৪০ জন কর্মী দয়াগঞ্জের প্রধান সড়কে মিছিল করতে শুরু করে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে এগোতে থাকলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ৬/৭টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুর্বৃত্তরা সায়েদাবাদে একটি আগুন দেয়। এতে বাসটি পুড়ে যায়। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি।
ওসি আরও জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সকাল ৮টার দিকে দয়াগঞ্জ মোড়ে একটি মিছিল বের করে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যদের দেখামাত্র তারা দৌড়ে ওই স্থান ত্যাগ করে এবং এ সময় তারা দয়াগঞ্জ ব্রিজের ওপর গিয়ে ৪/৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
এদিকে, সবুজবাগ এলাকায় ৩/৪ ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত কিছু এখনও জানা যায়নি।
(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/জেএম/ডিসেম্বর ১২, ২০১৩)