দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : ২০১২ সালে সারাবিশ্বে যক্ষ্মা রোগে ১৩ লাখ ব্যক্তি মারা গেছে। এই সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক লাখ কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে।

একে বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মাবিরোধী কর্মসূচির সুফল বলে মনে করা হচ্ছে।তবে কয়েক ধরনের যক্ষ্মা ওষুধ প্রতিরোধক হওয়ায় তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এইডস বা এইচআইভি’র পর বিশ্বে সংক্রমণ রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় যক্ষ্মায়। ২০১২ সালে মোট ৮৬ লাখ এ রোগে আক্রান্ত হয়। আগের বছরের তুলনায় এক্ষেত্রে এক লাখ কম মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এ সংখ্যা ২০১১ সালের তুলনায় এক লাখ কম এবং ১৯৯০ সালের চেয়ে প্রায় অর্ধেক। বিশ্বে যক্ষ্মা রোগীর ২৬ শতাংশই রয়েছে ভারতে এবং ১৩ শতাংশ রয়েছে চীনে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চিকিৎসার ক্ষেত্রে সঠিক মান বজায় না রাখার কারণে ওষুধ প্রতিরোধক যক্ষ্মা জীবাণুর উদ্ভব ঘটছে। কোন একটি বিশেষ ওষুধ প্রতিরোধ নয় বরং নানা ওষুধ প্রতিরোধ করতে পারছে এ জীবাণু। এসব জীবাণুকে বিশেষজ্ঞরা মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্স টিবি বা এমডিআর টিবি হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মোতাবেক ২০১২ সালে বিশ্বে সাড়ে চার লাখ মানুষ এমডিআর টিবি’তে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন এমডিআর টিবি আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। এ রোগের প্রাদুর্ভাব্ ভারত, চীন ও রাশিয়ায় সবচেয়ে বেশি।। এ জাতীয় জীবাণুতে যেসব রোগী আক্রান্ত হন তাদের প্রায়ই চিকিৎসা হয় না বা চিকিৎসা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৫ সালের আগে যক্ষ্মার টিকা বাজারে আসবে না।

(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/অক্টোবর ২৪, ২০১৩)