দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : টেস্টে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় অ্যালিস্টার কুক-মাইকেল ক্লার্ক জুটি! শুক্রবার শুরু হচ্ছে অ্যাসেজের তৃতীয় টেস্ট৷ এই টেস্টে ২ প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক ক্লার্ক এবং কুক তাদের শততম টেস্ট খেলতে নামছেন৷ অস্ট্রেলিয়া ২-০ এগিয়ে রয়েছে সিরিজে৷ ক্লার্কের ১০০তম টেস্ট জয় মানেই আরো এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সিরিজ নিশ্চিত হওয়া। অন্যদিকে অনেকটাই ব্যাকফুটে থাকা কুকের জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ; শততম ম্যাচ জয় করে স্মরণীয় করার।

আগের ৫৬ জন সেঞ্চুরিয়ানের সঙ্গে কুক-ক্লার্কও যুক্ত হচ্ছেন। কুকের আগে ৩ ঘরের ফিগার স্পর্শ করা ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারের সংখ্যা ১১। অস্ট্রেলিয়ান ক্লার্ক দেশের ১২তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ওই ঈর্ষণীয় ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করছেন।

রেকর্ডবুকে সবার আগে সদ্য বিদায় নেওয়া শচিন টেন্ডুলকার। শচিন খেলেছেন ২০০টি টেস্ট। এরপর রয়েছেন রিকি পন্টিং তিনি খেলেছেন ১৬৮টি। স্টিভ ওয়াহ খেলেছেন সম সংখ্যক। পরের ১৬৪ ম্যাচ খেলার তালিকায় রয়েছেন রাহুল দ্রাবিড় ও জ্যাক ক্যালিস।

অ্যালিস্টার কুকের এই সেঞ্চুরির টেস্ট ম্যাচ অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে ইংল্যান্ড দলেও৷ গত ৩টি অ্যাসেজ সিরিজই জিতেছে কুক বাহিনী৷ এক বছর তাদের কেউ হারাতে পারেনি৷ এর পরই তারা অস্ট্রেলিয়া সফরে এসে মুখ তুবড়ে পড়েছে; বিষয়টি স্মিয়ককর৷ এখন ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া৷ সব মিলিয়ে পার্থে কুকের একশতম টেস্টকে ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা হিসেবে দেখছে।

২ জনেরই অভিষেক ভারতের বিপক্ষে৷ ৩২ বছরের ক্লার্কের যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালে৷ এখনও পর্যন্ত করেছেন ৭৯৪০ রান৷ গড় ৫২.৫৮৷ এই মাসেরই শেষ দিকে ২৯ বছরে পা দেবেন কুক৷ তার অভিষেক ২০০৬ সালে৷ কুকের রান ৭৮৮৩৷ গড় ৪৭.২০৷

ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক ম্যাট প্রায়র বলেছেন, ‘আমি জানি না ও কোন রেকর্ড ভাঙতে চলেছে৷ কিন্তু অনেক রেকর্ডই ও ভাঙতে পারে৷ আমার তো মনে হয়, সম্ভবত ও ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার৷’ একই সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, ‘নেতৃত্ব দেওয়া নিয়েও বলতে পারি, এই মুহূর্তে ওর থেকে যোগ্য নেতা কেউ নেই৷ ও দলকে সামনে থেকে এগিয়ে নিয়ে যায়৷ অধিনায়ক হিসেবে দৃষ্টান্তও রাখে৷ ওকে শততম টেস্টে নামার আগে আমি অভিনন্দিত করছি।’


অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন বলেছেন, ‘শততম টেস্ট খেলা অবিশ্বাস্য অনুভূতি৷ এর জন্য কত দিন ধরে কত কষ্ট করতে হয়েছে মাঠে এবং মাঠের বাইরে৷’ আরো বলেছেন, ‘ও হয়তো এই টেস্টের আগে কিছুটা নার্ভাস হয়ে যাবে৷ তবে গত এক বছর ও যেভাবে অধিনায়কত্ব করেছে, তাতে আমি সত্যিই খুশি৷ যখন দরকার হয়েছে তখনই ও আগ্রাসি হয়েছে৷ যখন হাল ধরার দরকার হয়েছে, তখন হাল ধরেছে৷ ও সবসময়ই অন্য ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়ায়।’

একদিকে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ নিজের হওয়ার ঘটনা, অন্যদিকে ফিরে আসার প্রেরণায় একাকার হয়ে উঠতে পারে পার্থ। কারণ জীবনের শততম ম্যাচে নামার স্মরণীয় মুহূর্ত খুব কমই আসে।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/নূরু/সিজি/ডিসেম্বর ১২, ২০১৩)