মুহম্মদ আকবর, দ্য রিপোর্ট : বিনোদনপ্রিয় চেনা ও অচেনা মানুষের ভিড় শিল্পকলা একাডেমীর প্রাঙ্গণে রোজকার দৃশ্য। প্রতিদিনই মুখরিত থাকে জাতীয় নাট্যশালার বিভিন্ন হলসহ পুরো শিল্পকলা একাডেমীর ভিতর-বাহির। গত সপ্তাহে কয়েকটি নাটকের দল দর্শকশূন্যতায় নাটক মঞ্চায়ন করলেও চলতি সপ্তাহে একেবারেই নিষ্প্রাণ একাডেমী প্রাঙ্গণ।

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার কারণেই এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মনে করছেন নাট্যাঙ্গনের কর্মীরা। তাদের অনেকের ভাষ্য, যান্ত্রিক জীবনের গ্লানি মুছে একটু বিনোদনের জন্যই এখানে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসে মানুষ। বেঁচে থাকাই তো প্রধান, তারপর না বিনোদন। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাট্যাঙ্গনে আসছে না থিয়েটারের নিয়মিত দর্শক।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চায়ন হবার কথা ছিলো দৃষ্টিপাত নাট্যদলের ‘রাজা হিমাদ্রি’। রাজা হিমাদ্রি নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র তাজমী নূর দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘নিজেদের চর্চাকে অব্যাহত রাখা এবং দর্শকের কাছে বিনোদনের মাধ্যমে যা কিছু সুন্দর তা উপহার দেবার প্রত্যয়েই তো আমরা নাটক করি। কিন্তু দর্শক যদি না থাকে তাহলে আর নাটক করা যায় না। তাই নাটকটি মঞ্চায়ন করার তারিখ বাতিল করেছি।’

অন্য দুই হলে পূর্ব নির্ধারিত হল বুকিং অনুযায়ী ঢাকা পদাতিক মঞ্চায়ন করবে 'আপদ' অথবা 'পাইছো চোরের কিচ্ছা' এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে চারুনীড়ম থিয়েটারের অবাক দেশ ও বুড়ো (কারিগড়ি) মঞ্চায়ন করবে। এই দুই দলের সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে বিরাজমান সকল প্রকার অপতৎপরতার প্রতিবাদে আমরা মঞ্চায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিগত দিনে বিরোধী দলের ডাকা হরতাল, অবরোধের অভিজ্ঞতা থেকে নাট্যাঙ্গনের অনেকেই ভাবছে সেই চেনা দৃশ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমীর প্রাঙ্গণে দেখা যাবে কিনা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/নূরু/এমসি/ডিসেম্বর ১২, ২০১৩)