সাড়া নেই বিএনপির!
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
দেশের আলোচিত এই ঘটনার পরও বরাবরের মতো নিশ্চুপ ১৮-দলীয় জোটের বিএনপি নেতারা। রায় কার্যকরের পর থেকে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও কারো মুঠোফোন খোলা পাওয়া যায়নি। সংবাদকর্মীদের প্রতিক্রিয়া দেওয়া এড়ানোর জন্যই মুঠোফোন বন্ধ রেখেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অবশ্য ৮ নভেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দলটির প্রায় সকল নেতা-ই আত্মগোপনে চলে যান। তখন থেকেই অধিকাংশ নেতার মুঠোফোন প্রায় বন্ধ পাওয়া যায়। গ্রেফতারের আতঙ্কেই তারা মুঠোফোন বন্ধ রাখছেন বলে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় এ রায় কার্যকরের পর অধিকাংশ নেতার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর বিএনপি প্রায় ২৩/২৪ জন সিনিয়র নেতাকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান ও ড. আবদুল মঈন খানের মুঠোফোনে রিং হলেও তারা ধরেননি।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ট্রাইবুন্যাল গঠন করে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বিচার শুরুর পর থেকেই বিএনপি এই বিচার প্রক্রিয়াকে ‘ত্রুটিপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নয়’ বলে বিভিন্ন সময় দাবি ও অভিযোগ করে আসছে। তবে এই ট্রাইবুনাল ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির রায় ঘোষণা করলেও বিএনপির পক্ষাবলম্বন বা বিরোধিতা কোনো ধরনেরই প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সব সময়ই এ ব্যাপারে দলটি নিশ্চুপ থাকার কৌশল অবলম্বন করে আসছে। যদিও বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধেও ইতোমধ্যে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও বেশ কয়েকজন রয়েছেন যারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
(দ্য রিপোর্ট/টিএস-এমএইচ/এমএইচও/এমডি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)