নিউজিল্যান্ডে যাত্রীবাহী জাহাজ রফতানির চুক্তি করল ওয়েস্টার্ন মেরিন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করল বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণশিল্প। এ বিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি নির্মাণ চুক্তি সাক্ষর করেছে।
ওয়েস্টার্ন মেরিনের প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার এ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হেরি স্ট্রনাক। জাহাজটি নির্মিত হবে টোকেলাউয়ের জন্য। জাহাজটি টোকেলাউ থেকে সামোয়া দ্বিপপুঞ্জে যাত্রী পরিবহন করবে।
এই জাহাজের চুক্তি মূল্য ৬৬ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্যমান ৫২ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী যাত্রীবাহী জাহাজটি ২০১৪ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
ওই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি শিপইয়ার্ড প্রশান্ত মহাসাগরে চলাচলের উপযোগী ডিজাইন করা জাহাজ নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এই জাহাজটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক লয়েডস রেজিস্ট্রারের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে। এটি হবে পূর্ণাঙ্গ যাত্রীবাহী জাহাজ। যাতে সমুদ্রে সম্ভাব্য সকল প্রকার প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকবে।
এই জাহাজের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬০জন। জাহজটি ৫০টন কার্গো পরিবহনে সক্ষম। এটির নির্মাণকালে প্রশান্ত মহাসাগরের অবস্থা, যাত্রার সময়কাল বিবেচনায় রেখে যাত্রীদের সার্বিক আরাম-আয়েশ ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হবে। ৪৩ মিটার দৈর্ঘ্য এই জাহাজে ২৪টি ব্যাংক বেডস, ১৬টি রি ক্লিনিং সিট, শিশুদের খেলাধূলার জন্য একটি নিরাপদ এলাকা ও ১২জন ক্রুর জন্য আরামদায়ক থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
এ ছাড়া এই জাহাজে ২টি রেফার কন্টেইনারসহ মোট ৫টি কন্টেইনার পরিবহনের সক্ষমতা ও মালামাল উঠা-নামার জন্য একটি ক্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। ক্লাসের নোটেশন অনুযায়ী এখানে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এই জাতীয় অত্যাধুনিক, সুপরিসর যাত্রী পরিবহনের সক্ষম জাহাজ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে জাহাজ নির্মাণশিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল।
(দ্য রিপোর্ট/এআই/আইজেকে/এইচএসএম/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)