দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের ফুফা চাং সং থায়েকের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। দুর্নীতি, নারী নির্যাতন ও মাদক গ্রহণসহ আরো কিছু বেআইনি কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে।

চলতি মাসে চাংকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

দেশটির সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ দলটির এক পলিটব্যুরো সদস্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, চাং ও তার অনুসারীরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতে ছিলেন, যা দলের ও বিপ্লবকে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় ক্ষমতাধর এই ব্যক্তিকে নভেম্বরে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

২০১১ সালে সাবেক নেতা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর দেশটির নেতৃত্বের ভার নেন তার ছেলে কিম জং উন। কিম জং উন যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে চাংয়ের ওপর নির্ভর করতেন।

১৯৭২ সালে কিম জং ইলের বড় বোনকে বিয়ে করেন চাং সং থায়েক। কিম জং ইলের শাসনামল থেকেই ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদে আসীন হন। সূত্র: বিবিসি।

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/শাহ/জেএম/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)