দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্বান্তে জাতীয় পার্টি এখনো অটল বলে জানিয়েছেন এরশাদের ছোটভাই ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের এমপি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি না। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্বান্ত বহাল আছে। এখনো যারা করেননি সবাইকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। আমি আমারটা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। মহাসচিবও প্রত্যাহার করতে পাঠিয়েছেন।’

শুক্রবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে গুলশানে জাপা মহাসচিবের ব্যবসায়িক অফিসে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

জিএম কাদের বলেন, ‘এ নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন অর্থবহ হবে না। দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। তাই উনি (এরশাদ) নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্বান্তে অটল।’

তিনি বলেন, পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার ‍বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় জিএম কাদেরের পাশে বসা ছিলেন জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার ও প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।

এরশাদকে গ্রেফতার বা আটক করে নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘উনাকে নেওয়ার প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল না। তবে উনাকে আটক করা হয়নি। উনি হাসপাতালে আছেন।’

এরশাদ অসুস্থ থাকায় কাউকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে জিএম কাদের বলেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যান দেশের বাইরে গেলে বা উনি কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করলে সেক্ষেত্রে হতে পারেন। তবে উনি এখনো আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান। এক্ষেত্রে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।’

সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে শতাধিক বিক্ষুব্ধ কর্মী স্লোগান দিতে থাকেন ‘এরশাদ আটক কেন, দালালেরা জবাব চাই, এরশাদের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে।’ বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের শান্ত করতে একপর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ রেখে রুহুল আমীন হাওলাদার উঠে দাঁড়ান। এ সময় যুব সংহতির বনানী থানার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে আটক করে পুলিশ।

রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে পার্টির মহাসচিব। বিশ্বস্ততার সঙ্গে পার্টির দায়িত্ব পালন করছি। আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে পার্টির চেয়ারম্যান ছাড়া আর কাউকে ভয় করি না।’

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/শাহ/জেএম/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)