নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা পঞ্চবটিতে শুক্রবার সকাল ১১টায় লাঠি মিছিল বের করে। মিছিল থেকে ৩টি ট্রাক ও একটি কাভার্ডভ্যান থামিয়ে চালকদের নামিয়ে মারধর করে। পরে তারা পেট্রোলবোমা মেরে ওই চারটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ২০-২২টি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের এএসআই জাকির হোসেন ও কনস্টেবল রফিককে পিটিয়ে আহত করে শিবিরকর্মীরা।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১১টায় ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা পঞ্চবটিতে লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে সরকারবিরোধী এবং জামায়াতের পক্ষে নানা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় সড়কে চলাচলরত ৩টি ট্রাক ও একটি কাভার্ডভ্যান থামিয়ে চালকদের নামিয়ে এনে মারধর করে আহত করে। পরে তারা পেট্রোলবোমা মেরে ওই চারটি যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সড়কে যানজটে আটকে পড়া প্রায় ২০-২২টি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে শিবিরকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের এএসআই জাকির হোসেন ও কনস্টেবল রফিককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে শিবিরকর্মীরা। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দুই পুলিশ সদস্যকে নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সংবাদ পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চারটি গাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় এক ঘণ্টার মতো যানচলাচল বন্ধ থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় পুনরায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, পঞ্চবটিতে শিবিরের লোকজন মিছিল করে গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এআর/এপি/শাহ/এএস/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)