দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জুমার নামাজ শেষে রাজধানীতে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা শুরু হয়েছে। বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সহিংসতা এড়াতে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সড়কে টহল দিচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনির সামনের রাস্তায় রাখা গাড়ি, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, রিকশাসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।

এদিকে জুমা নামাজ শেষে জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে মগবাজার-মৌচাক সড়কে যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এ সময় তারা একটা যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা জুমা নামাজ শেষে মিছিল বের করে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

এদিকে জুমা নামাজের পর রাজধানীর রামপুরা বাজার এলাকায় ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেলযোগে শিবিরকর্মীরা শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ৩-৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এদের সবার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা ছিল। এ সময় তারা মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় একটি গাড়িতে আগুন দেয়। পুলিশ পিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৩০-৩৫ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫-২০টি হেলমেট এবং ১২-১৪টি লাইফ জ্যাকেট উদ্ধার করে। রামপুরা থানার পুলিশের অপারেশন অফিসার এসএম কামরুজ্জান জানান, রামপুরা চৌধুরীপাড়ার হাজীপাড়া এলাকায় শিবিরকর্মীরা সহিংসতা চালায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/শাহ/এসবি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)