দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দৈব চয়নে ভাগ্য খোলেনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের। ফলে বিদেশি ক্রিকেটারেই তাদের নির্ভর করতে হয়েছে। তা না করতে পারলে হয়ত সুপার লিগেই খেলতে পারত না ক্লাবটি। নানা সমীকরণে এক পর্যায়ে শিরোপার স্বপ্ন টিমটিম করে জ্বলছিল। শেষ ২ ম্যাচে হেরে সেই স্বপ্নে গুড়েবালি।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তিলকারত্নে দিলশান, উপুল থারাঙ্গা, মো. নবী, অজান্থা মেন্ডিস, সামিউল্লাহ সিনওয়ারিদের মতো বিদেশি ক্রিকেটারই সম্মান বাঁচিয়েছে। বিদেশি দিয়েই চমক দেখিয়েছে মোহামেডান। ক্লাবের দাবি লেনদেন নিয়ে ঝামেলা নেই। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের অন্যতম ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভ।

মোহামেডানের ওপেনার শামসুর রহমান শুভ জানিয়েছেন সব ঠিকমতই হয়েছে। তার ভাষায়, ‘ইতিমধ্যেই আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ৭০ ভাগ অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ লিগ শুরুর আগে ৪০ ভাগ; শেষ হওয়ার আগে ৩০ ভাগ ও লিগ শেষ হওয়ার একমাসের মধ্যে ৩০ ভাগ অর্থ দেওয়ার কথা দলগুলোর। দলের একাধিক ক্রিকেটারও তাই জানিয়েছেন। তারপরও মন্দের ভালো মোহামেডান যেমন সাফল্য পেয়েছে; তেমন লেনদেনও সাফল্যের সঙ্গেই করছে।

এ ব্যাপারে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে লিমিটেডের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভুইয়াও জানিয়েছেন, ‘নিয়মিতই ক্রিকেটারদের অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা নতুন নিয়মে ভালো ক্রিকেটার পাইনি; তাই বিদেশিদের ওপরই নির্ভর করতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আগে-ভাগেই তাদের পেমেন্ট দিতে হয়েছে।’

এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু হয় ‘প্লেয়ার বাই চয়েজে’ ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর মধ্য দিয়ে। এ নিয়মে মোহামেডান বারবার রোটেশন পদ্ধতিতে পেছনের দিকে ছিল। যে দেশি ক্রিকেটার দলটি পেয়েছে তাদের মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও শামসুর রহমান শুভরই তারকাখ্যাতি আছে। এ ছাড়া সাকলাইন সজিব, ধীমান ঘোষ, মুক্তার আলী, মুরাদ খান, জুপিটার ঘোষ, রাজিন সালেহ, দেলোয়ার হোসেন, এজাজ আহমেদ, শাহীন হোসেন, সায়েম আলম ও হাবিবুর রহমানরা ছিলেন। এ ক্রিকেটারদের নিয়ে অন্তত চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না।

এ ভাবনা মোহামেডান শুরু থেকেই করে। তাই শুরু থেকেই দিলশান, থারাঙ্গার মতো ক্রিকেটার খেলেছেন। পরর্বতীতে আফগানিস্তানের এ মুহূর্তে সেরা ক্রিকেটার মো. নবী, শ্রীলঙ্কার ‘ক্যারম’ বোলার অজান্থা মেন্ডিস, সামিউল্লাহ সিনওয়ারিদের দলে ভেড়ায়। তবে মোহামেডানের মত শুরুতেই বিদেশি ক্রিকেটার এনে আর কোন দল চমক দেখাতে পারেনি। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পর সুপারলিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো আশা জাগালেও শেষ ২ ম্যাচ হেরে সেই আশা শেষ হয়ে যায় মোহামেডানের।

দলটি দেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়াতে খুব বেশি অর্থ খরচ করেনি। লোকমান হোসেন আরো জানিয়েছেন, ‘দেশি-বিদেশি সবমিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে। এরমধ্যে আবার বিসিবি থেকেও পেয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।’

আবাহনীর মতো দল এবার ঘরোয়া আসরে সুপারি লিগে খেলতে পারেনি। আর সেখানে দেশি ক্রিকেটারদের পেছনে ফেলে বিদেশি ক্রিকেটারদের এনে বলা যায় ‘চমক’ দেখিয়েছে মোহামেডান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/নূরু/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)