দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বার বার সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলায় এরশাদ সাহেবকে গভীর রাতে সিএমএইচ-এ যেতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

তিনি বলেছেন, ‘যেভাবে গভীর রাতে আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সময় হলে অনেক কথা বলব। আমি বসে থাকব না। কঠোর কর্মসূচি দেব।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাপা মহানগর উত্তরের যৌথসভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আমিও আমার পটুয়াখালী ১ আসনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। আমরা নির্বাচনে যাব না।’

তিনি বলেন, ‘এরশাদের বিকল্প কোনো নেতৃত্ব জাতীয় পার্টিতে নেই। আসবেও না। তিনি আছেন, থাকবেন। আপনারা বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না।’

এর আগে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এ বৈঠক ডেকেছিলেন জাতীয় পার্টির সরকারপন্থি নেতারা। বৈঠকের বেশিরভাগ নেতা নির্বাচনের না যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। অনেকে এরশাদকে আটকের প্রতিবাদে হরতাল আহ্বানের অনুরোধও জানান।

শুক্রবার বিকেল তিনটায় এ বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়শল চিশতী ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন বাবুল।

বৈঠকে ঢাকা জেলার সভাপতি ইস্রাফিল আলম বলেন, ‘আমি কাল রাতে র‌্যাবের হাতে মার খেয়েছি। আমি দুইবার এমপি হয়েছি। আমার এমপি হওয়ার লোভ নেই। আমাদের নেতা জেলে। আপনারা হরতাল ডাকুন। আমরা রাস্তায় নামব।’

মালিবাগের নেতা আবুল খায়ের বলেন, ‘আজ যারা দালালি করছেন তাদের ধরে লাঞ্ছিত করা হবে। অনেক সহ্য করেছি আর নয়। এবার আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।’

এরশাদের সহকারী বাদশা বলেন, ‘ব্যারিস্টার আনিস ও বাবলু সরকারের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে জাপাকে ভাঙার চেষ্টা করছে। আমরা জীবন দিয়ে হলেও আমাদের পার্টিকে রক্ষা করব। আমরা আমাদের আমনত রক্ষা করব।’

বৈঠকে জাপা নেতারা স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘আনিস-বাবলুর গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে, আনিস-বাবলুর চামড়া তুলে নেব আমরা।’

জাপা সূত্রে জানা গেছে, সরকারের বিশেষ অনুরোধে এ বৈঠক ডেকেছিল জাপার সরকারপন্থি নেতারা। কিন্তু বৈঠকে বেশিরভাগ নেতারা নির্বাচন না যাওয়া ও এরশাদের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি দেওয়ার দাবি জানালে পরিস্থিতি বদলে যায়।

(দ্য রিপোর্ট/ সাআ/নূরু/এনডিএস/ডিসেম্বর ১৩,২০১৩)