প্রস্তুতি যা, তাতে শঙ্কা থাকছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী মার্চে বাংলাদেশে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ। চূড়ান্তপর্ব নয় সেখানে বাংলাদেশকে খেলতে হবে প্রথম রাউন্ড। সুপার টেনে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ৮টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে যোগ দিতে হলে ‘এ’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে বাংলাদেশকে। আর ‘এ’ গ্রুপে আছে নবশক্তির আফগানিস্তান। এছাড়াও রয়েছে নেপাল ও হংকংও। বাছাইপর্বে আফগানদেরই বড় হুমকি মনে করছে বাংলাদেশ।
টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের তেমন সুযোগ ছিল না এ ফরম্যাটের ম্যাচ খেলার। এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টোয়েন্টি২০ আসর অনুষ্ঠিত হয়নি। বিপিএল’র বিকল্প হিসেবে একটি টোয়েটি২০ আসর আয়োজনের কথা ভাবলেও নানা কারণে তা বিসিবি করতে ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা আসার কথা। ফলে ফরমেট অনুযায়ী প্রস্তুতির জন্যই ‘এ’ দল এবং জাতীয় দল গঠন করে ৩ ম্যাচের টোয়েন্টি২০ চ্যালেঞ্জ কাপ আয়োজন করেছে বিসিবি। সেখানে মুশফিকের নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় দল নাসিরের ‘এ‘ দলের কাছে প্রথম ২ ম্যাচেই হেরেছে। সিরিজ হাতছাড়া করা জাতীয় দলের এমন বেহাল অবস্থা শঙ্কা বাড়িয়েছে। বিশেষ করে আফগানকে নিয়েই। শনিবার চ্যালেঞ্জ কাপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এ ম্যাচটি অবশ্য দুপুর ১ টায় শুরু হওয়ার কথা।
আয়োজক হলেও বাংলাদেশকে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে হলে চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে। বাংলাদেশ দল টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটে অনিয়মিত। ওয়ানডে ক্রিকেটে সমীহ জাগানিয়া দলে পরিণত হলেও এ ফরমেটে এখনও আহামরি কোনো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। নিয়মিত টোয়েন্টি২০ ম্যাচ খেলতে না পারাকেই এ জন্য প্রধানতম কারণ মনে করছেন মুশফিক। চ্যালেঞ্জ কাপে জাতীয় দলে দৈন্যদশা প্রমাণিত হয়েছে ইতোমধ্যে। নির্বাচকরা মূলত দেখতে চেয়েছিলেন জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররা কেমন পারফর্ম করছেন। প্রধান কোচ শেন জার্গেনসনও সেদিকেই খেয়াল রাখছেন।
জার্গেনসন জানিয়েছিলেন, ‘আমরা এখান থেকে বুঝতে পারব পরবর্তীতে কিভাবে দলের সমন্বয় গঠন করা হবে।’
এ মিশনে জাতীয় দলের চেয়ে বরং ‘এ’ দলের অবস্থাই বেশ ভাল। যদিও ‘এ’ দলে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলা নাসির ও মুমিনুল হক সৌরভ রয়েছেন। জাতীয় দলে পুরোপুরি নিয়মিতরাই খেলছেন এ চ্যালেঞ্জ কাপে। প্রথম ম্যাচে ১২ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে জাতীয় দল। অধিনায়ক মুশফিক উৎরে গেলেও জাতীয় দলের বোলিংটাও তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। অবশ্য জাতীয় দলের প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার নাসির ও মুমিনুল ভালো করছেন। পাশাপাশি দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ওপেনার ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, এনামুল, জিয়াউর রহমান ও শামসুর ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে রান করেছেন। ব্যর্থ হয়েছেন নাঈম ইসলাম ও জহুরুল ইসলাম অমি। সব মিলিয়ে যা দাঁড়িয়েছে তা মোটেও সুখকর নয় জাতীয় দলের জন্য। যা ভাবিয়ে তুলতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/নূরু/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)