শীতে বেড়িয়ে আসুন বগালেক
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বছরের শেষের এই সময়টা ঘুরে বেড়ানোর জন্য খুবই উপযোগী। ভ্রমণপিপাসু যারা তাদের জন্য আদর্শ সময় শীতকাল। এই শীতের শেষের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির হ্রদ বগালেক থেকে। প্রতিবছর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন এখানে।
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কেওক্রাডাং-এর পাশ ঘেঁষে শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বগালেকের অবস্থান। বগালেক ড্রাগন লেক নামেও পরিচিত। রুমা বাজার থেকে হেঁটে অথবা চান্দের গাড়ি করে যেতে পারেন।
হাঁটা পথে ঝিরিপথ ধরে গেলে ৫ ঘন্টার মত সময় লাগতে পারে। আর চান্দের গাড়িতে গেলে সময় লাগবে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত। লেকের নিচ থেকে ট্রাকিং করে উপরে উঠতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিটের মত। এই হ্রদের মজার বিষয় হল হ্রদটি তিনদিক থেকে পর্বতশৃঙ্গ দ্বারা বেষ্টিত। এটি প্রাকৃতিক ভাবে পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি। অদ্ভুত সুন্দর ও মনোরম এই লেকের গভীরতা এখনো সঠিকভাবে মাপা যায়নি। তবে জানা যায় এর গভীরতা আড়াই শ' মিটারের মত।
এই লেকের আরেক অদ্ভুত বিষয় হল লেকের পানি প্রতি বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের দিকে ঘোলাটে হয়ে যায়। আর সেই সাথে লেকের আশপাশের নদীর পানিও ঘোলাটে রং ধারণ করে। লেকের ভেতর প্রচুর বড় বড় মাছ দেখা যায়। প্রচুর পরিমাণে জলজ লতাপাতা আর খাড়া পাথরের পাড়ের কারণে সাঁতার কাটার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
বগালেকের প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলো হল আর্মি ক্যাম্প, সিয়াম দি'র কটেজ, বম ও মুরংদের গ্রাম। রাতের বেলায় বগালেক অদ্ভুত সুন্দর রূপ ধারণ করে। পূর্ণিমার সময় যেতে পারলে পুরো রূপ উপভোগ করতে পারবেন। বগালেক থেকে কেওক্রাডাং কাছেই। ইচ্ছা করলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
যেকোন নতুন জায়গায় ঘোরাঘুরির ফলে আপনি সেই জায়গার প্রকৃতি, পরিবেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণ নিতে পারেন সহজেই। আর অবশ্যই সেখানকার নিয়ম-নীতিও আপনাকে মেনে চলতে হবে। ঘুরে বেড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই গাইড ছাড়া একা কোথাও যাওয়া উচিত নয়।
(দ্য রিপোর্ট/কেএম/নূরু/এমডি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)