দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার জন্মদিন ছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের। বলেছিলেন ফেডারেশন কাপ জিতেই জন্মদিন পালন করবেন। কথা রেখেছেন। শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে তার দল।

ম্যাচ শেষে হাস্যোজ্জ্বল মামুনুল বলেছেন, ‘খুব ভালো লাগছে। গত মৌসুমেও ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতেছিলাম; শেখ রাসেলের হয়ে। ফাইনালে যাদের হারিয়েছিলাম, এবার সেই শেখ জামালের হয়েই শিরোপা জিতলাম। দলের দীর্ঘ প্রস্তুতি, ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা, আন্তরিকতা ও কোচের চেষ্টা সব মিলিয়ে আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এবারের টার্গেট লিগ শিরোপা জেতা।’ সঙ্গে আরো বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার জন্মদিন ছিল। বলেছিলাম, ফাইনাল জিতে জন্মদিনের উৎসব করব। তা করতে পারায় খুবই আনন্দিত আমি।’

শিরোপা জয়কে একটু ভিন্নভাবেই দেখছেন শেখ জামালের নাইজেরিয়ান কোচ জোসেফ আফুসি, ‘গত মৌসুমে ৩টি ট্রফি জিতেছিলাম। যদিও সব ছিল রানারআপ ট্রফি। এজন্য মনের মধ্যে দুঃখ ছিল। সেই দুঃখের কিছুটা উপশম হলো ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে। খেলায় অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ওরা অনেক ভালো খেলেছে। সনিকে বার বার আটকানোর চেষ্টা করেছে। এতে আমাদের লাভ হয়েছে। ফলে দলের অন্যরা ওপরে উঠে খেলেছে এবং আক্রমণ করার সুযোগ পেয়েছে। আমরা সৌভাগ্যবশত প্রাপ্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তা গোলে পরিণত করেছি।’

ফাইনালে দল জয় পাওয়ার পর পরই খেলোয়াড়দের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের সভাপতি মঞ্জুর কাদের। তিনি বলেছেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে দল গঠন করেছি, তা ফেডারেশন কাপ জয়ের মধ্য দিয়ে কিছুটা পূরণ হয়েছে। যোগ্য দল হিসেবেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। অবশ্যই আমি খুশি। এতে ভেসে যাওয়ার কিছু নেই। সামনে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’

মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক ভাগ্যকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কি আর বলব; ব্যাডলাক। আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ফরোয়ার্ডরা। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ভালমতো নিতে পারিনি। এদিক থেকে জামালই ছিল এগিয়ে। এখন আমাদের চিন্তা লিগের শিরোপা।’

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/এএস/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)