সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের সকল গণ-আন্দোলনে অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বিজয় উৎসব ২০১৩। ‘জয় সর্বকালের বাংলা, জয় সর্বধর্মের বাংলা, জয় সর্বমানবের বাংলা’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধে মিরপুর জল্লাদখানার বদ্ধভুমিতে নিহত শহীদ পরিবারের ২১ জন সদস্য।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এ বর্ণাঢ্য আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও কবি মুহাম্মদ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, আইটিআই-এর বিশ্বসভাপতি রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আআমস আরেফিন সিদ্দিক, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল হাসান খান, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মফিদুল হক প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজয় উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করেন শহীদ আকবর আলীর সন্তান মো. ফরিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানের ঘোষণা পাঠ করেন রামেন্দু মজুমদার।
বক্তারা বলেন, অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে রাজনীতির ক্রান্তি লগ্নে বিজয়ের মাসে একজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা বলেন, জয় বাংলার স্লোগানকে বিশ্লেষণ করে যদি রাষ্ট্রীয় সমাজ জীবনে তা প্রয়োগ করি তাহলে জাতির জনক ও শহীদদের আদর্শের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এ সময় নবীন-প্রবীন প্রজন্ম মিলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী পতাকা বহন করে সম্মিলিতভাবে জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
এর আগে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন শেষে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ৪৩ জন শিল্পী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত হওয়া একটি গান পরিবেশন করেন। পাশাপাশি স্পন্দন-এর শিল্পীরা সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে। শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/কেএম/ডিসেম্বর১৩, ২০১৩)