চিকিৎসায় অবহেলা : ৬ কোটি রুপি জরিমানা
ভারতে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত কারণে এটাই এ পর্যন্ত করা সর্বোচ্চ জরিমানা। হিন্দুস্তান টাইমস তাই এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছে।
বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায় ও ভি গোপাল গোদার সমন্বিত এক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়। রায়ে বাদী কুনাল সাহাকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে পুরো টাকা পরিশোধ করার জন্য আসামিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অহিও’র চিকিৎসক কুনাল সাহার স্ত্রী অনুরাধা ১৯৯৮ সালের মার্চে গ্রীষ্মের ছুটিতে কলকাতা আসেন। একই বছরের এপ্রিলের ২৫ তারিখে তিনি ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ায় ডা. সুকুমার মুখার্জির কাছে যান। ডা. মুখার্জি তাকে কোনো ওষুধ না দিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন।
ফুসকুড়ি ভয়াবহ রকম বেড়ে গেলে একই বছরের ৭ই মে ডা. মুখার্জি তাকে ডেপোমেড্রোল ৮০ মি.গ্রা. ইঞ্জেকশন দিনে ২টা করে নিতে বলেন। তার এ চিকিৎসাটি ভুল ছিল বলে আদালতে প্রমাণ হয়।
ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে ১১ই মে ডা. মুখার্জির তত্ত্বাবধানে এএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
অনুরাধার মৃত্যুর পর তার স্বামী কুনাল সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলেন। এখান থেকেই শুরু তার যুদ্ধ। সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় আনতে তিনি পিপল ফর বেটার ট্রিটমেন্ট (পিবিটি) নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন।
এএমআরআই ও এর তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে করা এ মামলা ন্যাশনাল কনজ্যুমার ডিসপুট রিড্রেসাল কমিশনের (এনসিডিআরসি) কাছে যায়। তারা তদন্ত করে চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ পায়। ২০০৯ সালে অভিযুক্তদের ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করে। কিন্তু আসামিরা টাকা পরিশোধ না করায় তিনি উচ্চ আদালতে মামলা করেন।
আদালতের রায়ে ডা. বলরাম প্রসাদ ও ডা. সুকুমার মুখার্জিকে ১০ লাখ করে ও ডা. বৈদ্যনাথকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
(দিরিপোর্ট২৪/এসকে/এমডি/অক্টোবর ২৪, ২০১৩)