শস্য উদ্বৃত্ত না হওয়া পর্যন্ত সারে ভর্তুকির সুপারিশ
সোহেল রহমান, দ্য রিপোর্ট : কৃষিখাতে ভর্তুকি বাজেটের উপর এখনো কোনো বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান প্রধান শস্য উৎপাদন উদ্বৃত্ত না হওয়া পর্যন্ত সারে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ।
‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি ভর্তুকির প্রভাব এবং নীতি কৌশল নির্ধারণ’ শীর্ষক অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সার আমদানিতে প্রদত্ত ভর্তুকি ২০০৯ সাল থেকে ক্রমশ কমে এলেও রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় সার বাবদ ভর্তুকি ব্যয়ের চাপ ভবিষ্যতে বাড়তে পারে। এ কারণে সারের মূল্য স্থির রেখে ভর্তুকি নির্ধারণের পরিবর্তে ভর্তুকির পরিমাণ স্থির রেখে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সারের মূল্য বাড়ানো বা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এছাড়া ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে এমন লক্ষ্যাভিমুখী ভর্তুকি প্রদান এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হলে আমদানির পরিবর্তে দেশেই সার উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে অর্থ বিভাগ। ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি জমির মালিকানার ভিত্তিতে রেশন পদ্ধতিতে কৃষকদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার সরবরাহের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেশে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ভর্তুকির প্রভাব বিশ্লেষণে বলা হয়, ২০০০ সালের পর থেকে কৃষিখাতে ভর্তুকি বাড়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। ফলে কৃষি পণ্যের আমদানি চাহিদা আগের তুলনায় কমেছে। একই সঙ্গে আবাদযোগ্য কৃষি জমির ক্রমশ কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে কৃষি উৎপাদনে সারের বর্ধিত ব্যবহার ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট / এসআর / নূরু/এপি / ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩