পাবনা সংবাদদাতা : পাবনার সাঁথিয়ায় জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল থেকে দোকানপাট ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীদ মাহমুদ দ্য রিপোর্টকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পিছু হটে পালিয়ে যায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। শুনেছি হামলার হাত থেকে বাঁচতে তপন হায়দার ওরফে সান তার লাইসেন্সকৃত শটগানের গুলি ছুঁড়েছে। আহতের খবর আমাদের জানা নেই। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করার প্রতিবাদে ও রবিবারের হরতালের সমর্থনে সন্ধ্যায় সাঁথিয়া বাজারে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এসময় তারা বাজারের বেশকিছু দোকানপাট ও যানবাহনে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তপন হায়দার সানের বাসার সামনে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।

এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এর মধ্যে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে আওয়ামী লীগ নেতা তপন হায়দার সান বাসার ছাদ থেকে তার লাইসেন্সকৃত শটগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয় বলে জানা গেছে।

আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ১২ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন ব্যবসায়ী আনছার প্রামানিক, মাসুদ রানা, জামায়াত-শিবিরকর্মী তালহা হোসেন, দুলাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান ফিরোজ, মজনু হোসেন, বারুজ হোসেন, রাসেল, সাগর, রতন ও শাহিন।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/নূরু/এপি/এমডি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩)